বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের নিয়োগ মামলায় তার দেওয়া আরও একটি নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এরপর হাইকোর্টে নিজের এজলাসে বসে কিছুটা হতাশা নিয়েও দেশের শীর্ষ আদালতের উদ্দেশ্যে অনুরোধ বার্তা শোনা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) কণ্ঠে।
ঠিক কি বললেন বিচারপতি? এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার হাত আবার যদি বেঁধে দেওয়া হয়, আমি তো কিছু করতে পারব না। বড়জোর সুপ্রিম কোর্টকে কিছু অনুরোধ করতে পারি।’’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ধৃত তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি বলেছিলেন, মানিকের বিরুদ্ধে নতুন করে FIR করে তদন্ত করবে সিবিআই।
আরও পড়ুন: ‘আজ তো আমার মৃত্যুদিন’: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক ভট্টাচার্য। গত সপ্তাহে শীর্ষ আদালত ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়। এরপর এই প্রসঙ্গেই এদিন হাইকোর্টে বসে বিচারপতি বলেন, “যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি করছেন, তারা স্বীকার করার পরেও কোনও মামলায় কী ভাবে স্থগিতাদেশ হয় বুঝতে পারি না। সবই কি ন্যাচারাল জাস্টিস?”
গতকাল এই প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য শুনে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছেন ন্যাচারাল জাস্টিসের দোহাই দিয়ে কোনও মামলার বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত না করাই উচিত।”
আরও পড়ুন: ‘বাংলার গর্ব’ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে জয়ধ্বনি দিয়ে হোর্ডিং পড়ল খাস কলকাতায়
ওদিকে অন্য এক আইনজীবী বলেন, “ধর্মাবতার আপনি যা করে দিয়েছেন তাতে অনেকের ঘুম উড়ে গিয়েছে। আমার মামলায় আপনার নির্দেশের পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রাতে ঘুমাতে পারছেন না।”
এরপর বিচারপত বলেন, “নাগরিকদের সঙ্গে কেউ দুষ্টুমি করবেন তা আমি সহ্য করব না। কেন সাধারণ মানুষকে কোর্টে দৌড়ে আসতে হবে? কেন সরকারি আধিকারিকেরা নিজের কাজ করেন না? এটা আমার পছন্দ নয়।” পাশাপাশি বিচারপতি আরও বলেন, “আমার নির্দেশে কেউ যদি ঘুমাতে না পারেন তা হলে বলব হাই কোর্টের গরিমা অক্ষুণ্ণ রয়েছে। এখনও হাই কোর্টের নির্দেশকে ভয় পান।”