বাংলা হান্ট ডেস্ক : বৈচিত্র্যময় এই দেশে এমন অনেক কিছুই আছে যা শুনলে রীতিমত অবাক হতে হয়। বিশেষ করে এই দেশের মন্দির ও সেখানকার নিয়ম-আচার ধরণ। অনেক সময়ই এইসব নিয়ম কানুন আমাদের নিজেদেরকেই চমকে দেয়। এই যেমন মধ্যপ্রদেশের (Madhya pradesh) রতলামেও (Ratlam) এমন এক চমকে দেওয়া মন্দির রয়েছে। সেই মন্দিরে অধিষ্ঠান করেন দেবী লক্ষ্মী।
দেবী লক্ষ্মী যখন মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, সেখানে প্রতিপত্তি-সম্পদ তো থাকবেই। তবে অবাক করা বিষয় হল এই মন্দিরের নৈবদ্য। মন্দিরের অধিষ্ঠিত দেবীকে তো বটেই পাশাপাশি ভক্তদেরও কোন ফল মিষ্টির প্রসাদ দেওয়া হয়না। বরং তার জায়গায় দেওয়া হয় সোনার অলঙ্কার বা সোনা-রূপার কয়েন।
মধ্যপ্রদেশের রতলমের এই মন্দিরে সারা বছর ধরেই মায়ের পায়ে টাকা, অলঙ্কার এইসব কিছুকে নৈবদ্য হিসেবে দেওয়া হয়। এছাড়াও দীপাবলির সময় কুবের দরবার নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সোনা বা রূপার অলঙ্কার, কয়েন প্রসাদরূপে তুলে দেওয়া হয় ভক্তদের হাতে। ঐদিন ২৪ ঘন্টাই মন্দিরের দরজা খোলা রাখা হয়। কাউকেই খালি হাতে ফেরানো হয়না সেইদিন।
দীপাবলি উপলক্ষে আয়োজন করা এই দীপোৎসব চলে টানা পাঁচদিন। এইসময় কোন ফুল দিয়ে মন্দিরের সাজসজ্জা করা হয়না। বরং গোটা মন্দির সাজানো থাকে অলঙ্কার এবং ভক্তদের দ্বারা নিবেদিত অর্থ দিয়ে। কথিত আছে, ধনতেরাস থেকে দীপাবলি পর্যন্ত মাতা মহালক্ষ্মীর চরণে এবং তাঁর দরবারে যা কিছু নিবেদন করা হয় তা বহুগুণ বেড়ে যায়। এই কারণেই ভক্তরা সোনা-রূপা নৈবদ্য নিয়ে যান।
আরও পড়ুন : ‘ওই ৩ রাত আমার সাথেও …’, যাদবপুর হোস্টেলের কীর্তি ফাঁস করলেন নিহত স্বপ্নদীপের সহপাঠী
মানা হয় এতে সারা বছর সুখ-সমৃদ্ধি থাকে বজায় থাকে। উল্লেখ্য, এইসব সোনা রূপার গহনা ভক্তদের ফেরত-ও দেওয়া হয়। মায়ের চরণে এক সপ্তাহ রাখার পর ভক্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই গহনা। এ জন্য তাদের পরিচয়পত্র জমা দেওয়া হয়। কথিত আছে মহারাজা রতন সিং রাথোড় মাতা লক্ষ্মীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দির তৈরি করেছিলেন।