বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২০১৪ সালে মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party)। পদ্ম শিবিরের নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখই ছিল অশান্ত কাশ্মীরে (Kashmir) শান্তি প্রতিষ্ঠা। ২০১৭ সালে বিজেপির সেই ইস্তেহারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফারুক আবদুল্লা বলেন, ‘ওরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তিরঙ্গা তোলার কথা বলে। ওদের বলতে চাই, আগে শ্রীনগরের (Shri Nagar) লালচকে তিরঙ্গা (National Flag of India) তুলে দেখাও। এসব ওদের দ্বারা হবে না। ওরা আবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কথা বলছে।’
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার। এর পাশাপাশি গোটা রাজ্যকে দু’ভাগে ভাগ হয়। জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় লাদাখকে। মোদি সরকারের এই পদক্ষেপের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরে মোতায়েন রয়েছে বিপুল বাহিনী। শ্রীনগরের লালচকের মতো জায়গায় জাতীয় পতাকার দেখা মিলছে, এই ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত অনেকের।
কাশ্মীরের মহিমান্বিত আকর্ষণ এবং প্রতি ঘণ্টায় রাস্তায় প্রতিধ্বনিত ঘণ্টার সুরেলা আওয়াজ সহ, লালচকের আইকনিক কাঠামোটি অনেকের কাছেই পরিস্থিতি স্বাভাবিকতার প্রতীক। ঘন্টঘর নামে পরিচিত ঘড়ি টাওয়ার এখানকার মানুষের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর মতে, কয়েক দশক আগে বাজা কোম্পানির বিজ্ঞাপনের কৌশল হিসাবে যা শুরু হয়েছিল, তা এখন একটি ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্কে পরিণত হয়েছে। ঘণ্টাগুলো ছন্দবদ্ধভাবে বাজানোর সাথে সাথে, তারা কেবল ঘন্টা চিহ্নিত করে না বরং একটি সুপ্রাচীন ইতিহাসকেও নির্দেশ করে যা প্রজন্মকে মোহিত করে রাখে।
পথচারীরা টাওয়ারের প্রতি আকৃষ্ট হয় শুধুমাত্র এর শ্রুতিমধুর আবেদনই নয়, এর নান্দনিক আবেদন দ্বারাও। স্থানীয় ক্রেতারা এবং পর্যটকরা একইভাবে টাওয়ারের নজরকাড়া রূপান্তর দেখে নিজেদের মুগ্ধ করে। এলাকার এক দোকানদার উৎসাহের সঙ্গে বলেন, ‘ক্লক টাওয়ারের নতুন চেহারা সবার কাছেই আকর্ষণের প্রধান বিন্দু হয়ে উঠছে।’
টাওয়ারের স্থাপত্যটি লন্ডনের আইকনিক এলিজাবেথান টাওয়ারের সাথে তুলনা করা হয়। অনেকেই বিগ বেন নামেও ডাকেন। একটি দূরবর্তী শহরের প্রতীকের সাথে এই সাদৃশ্য সংযোগ এবং কৌতূহলের একটি অনন্য অনুভূতির জন্ম দিয়েছে। এই টাওয়ার গোটা শহরের সৌন্দর্যের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।