বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত হুংকার ছেড়েছিলেন। বলেছিলেন যে হাজার অসুবিধা সত্ত্বেও তিনি এটা মানতে রাজি নন যে কালকের বড় ম্যাচে তার দল আন্ডারডগ। যাবতীয় সমস্যার মোকাবিলা করে তার দল শেষ নিঃশ্বাস অবধি লড়বে। আর ঠিক তেমনটাই করে দেখালো ইস্টবেঙ্গল। প্রবল বর্ষণমুখর যুবভারতীতে খাতায় কলমে অনেক শক্তিশালী ও একাধিক তারকা ফুটবলারে পরিপূর্ণ মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের (Mohun Bagan Super Giants) বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় তুলে নিল লাল হলুদ।
গতকাল ইস্টবেঙ্গলের টিম বাস সঠিক সময়ে পৌঁছয়নি। ফলে রাজারহাটে সঠিক সময়ে অনুশীলনে পৌঁছানোর জন্য টোটো সাহায্য নিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের বিদেশীরা। তখন সবুজ মেরুন সমর্থকদের কাছ থেকে অনেক বেঁকা কথা হজম করতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ফুটবলরা আজ দেখালেন দৃঢ়তা থাকলে অনুশীলনে কিভাবে যাওয়া হচ্ছে তা কোনও প্রভাব ফেলে না খেলায়।
আজ শুরু থেকে না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বকাপে এমবাপ্পে, মেসিদের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে থাকা জেসন কামিন্সকে মাঠে নামিয়েছিল মোহনবাগান। পাশাপাশি তাদের স্কোয়াডে ছিল ভারতীয় দলের জাতীয় দলের প্রথম একাদশে থাকা একাধিক তারকা, যেমন লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, অনিরুদ্ধ থাপা ও পরিবর্ত হিসাবে নেমেছিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। তাও কেন জিততে পারলো না মোহনবাগান?
আজ দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গল কে প্রতি আক্রমণে বারবার জায়গা দিতে থাকে মোহনবাগান ডিফেন্স। ম্যাচের বয়স তখন ১ ঘন্টা। মাঝ মাঠে বল ইন্টারসেপ্ট করতে ব্যর্থ হলেন অনিরুদ্ধ থাপা। সেই বল ধরে প্রবল গতিতে আক্রমণে উঠে এসে ইনস্টেপে দুর্দান্ত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন তারকা নন্দকুমার।
এরপর বিশ্বকাপের কামিন্স এবং তারকা ফুটবলার পেট্রাটোসকে নামিয়ে একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন সবুজ মেরুন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন এবং প্রয়োজনে ট্যাক্টিকাল ফাউল করে বা জোর করে থ্রো-ইন আদায় করে সময় নষ্ট করে মোহনবাগানের উপর চাপ বাড়াতে থাকেন। ম্যাচের একদম শেষ দিকে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হেডে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেন আনোয়ার আলী। ফলস্বরূপ ২০১৯ সালের পর প্রথমবার কলকাতা ডার্বিতে সবুজ মেরুণ শিবিরকে হারায় ইস্টবেঙ্গল।