বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত হুংকার ছেড়েছিলেন। বলেছিলেন যে হাজার অসুবিধা সত্ত্বেও তিনি এটা মানতে রাজি নন যে কালকের বড় ম্যাচে তার দল আন্ডারডগ। যাবতীয় সমস্যার মোকাবিলা করে তার দল শেষ নিঃশ্বাস অবধি লড়বে। আর ঠিক তেমনটাই করে দেখালো ইস্টবেঙ্গল। প্রবল বর্ষণমুখর যুবভারতীতে খাতায় কলমে অনেক শক্তিশালী ও একাধিক তারকা ফুটবলারে পরিপূর্ণ মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের (Mohun Bagan Super Giants) বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় তুলে নিল লাল হলুদ।
তবে এই ম্যাচ জিতলেও এখনই পরের রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত নয় ইস্টবেঙ্গলের জন্য। তাদের এক গোলের বেশি ব্যবধানে হারায় তাহলে ডার্বি জিতেও ইস্টবেঙ্গল ডুরান্ডের পরের রাউন্ডের টিকিট পাবে না। মোহনবাগান এবং বাংলাদেশ আর্মি তাদের সমস্ত ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এখন ইস্টবেঙ্গল ও রাউন্ড ক্লাস পাঞ্জাবের মধ্যে হতে চলা ম্যাচটি নির্ধারিত করবে এই গ্রুপের ভবিষ্যৎ।
ডুরান্ডের সঠিক রূপের মধ্যে থেকে প্রথম স্থান অধিকার করা সকল দল সরাসরি পরের রাউন্ডে যাবে। বাকি ছয়টি দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের মধ্যে থেকে গোল পার্থক্যে সবচেয়ে ভালো জায়গায় থাকা দল দুটি পরের রাউন্ডে পৌঁছবে। ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান সমৃদ্ধ গ্রূপে এই মুহূর্তে ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলের হাতে রয়েছে চার পয়েন্ট কিন্তু তাদের হাতে এখনো একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। মোহনবাগান দ্বিতীয় স্থানে চলে যাবে এবং তাদের পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছানো নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে। একই সমস্যা থাকছে ইস্টবেঙ্গল এর ক্ষেত্রেও। পরের ম্যাচ ড্র হলে তাদের পরের রাউন্ডে যাওয়া নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হবে কারণ তারা দ্বিতীয় স্থানে থেকে বাকি পাঁচটি দলের ছেড়ে ভালো গোল পার্থক্য রাখতে পারবে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ থেকে যাবে। আর হারলে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানও নিশ্চিত থাকবে না।
আরও পড়ুন: নন্দকুমারের দুরন্ত গোলে আনন্দ ফিরলো! ৪ বছরের খরা কাটিয়ে ডুরান্ডে মোহনবাগান বধ ইস্টবেঙ্গলের
আজ দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গল কে প্রতি আক্রমণে বারবার জায়গা দিতে থাকে মোহনবাগান ডিফেন্স। ম্যাচের বয়স তখন ১ ঘন্টা। মাঝ মাঠে বল ইন্টারসেপ্ট করতে ব্যর্থ হলেন অনিরুদ্ধ থাপা। সেই বল ধরে প্রবল গতিতে আক্রমণে উঠে এসে ইনস্টেপে দুর্দান্ত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন তারকা নন্দকুমার।
আরও পড়ুন: টোটোয় চেপে যেতে হয়েছিল অনুশীলনে! ব্যাঙ্গ করেছিলেন মোহনবাগানীরা, অপমানের জবাব দিলো ইস্টবেঙ্গল
এরপর বিশ্বকাপের কামিন্স এবং তারকা ফুটবলার পেট্রাটোসকে নামিয়ে একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন সবুজ মেরুন কোচ জুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন এবং প্রয়োজনে ট্যাক্টিকাল ফাউল করে বা জোর করে থ্রো-ইন আদায় করে সময় নষ্ট করে মোহনবাগানের উপর চাপ বাড়াতে থাকেন। ম্যাচের একদম শেষ দিকে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হেডে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেন আনোয়ার আলী। ফলস্বরূপ ২০১৯ সালের পর প্রথমবার কলকাতা ডার্বিতে সবুজ মেরুণ শিবিরকে হারায় ইস্টবেঙ্গল।