বিরাট অ্যাকশন ED-র! তল্লাশিতে উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ২৫ কোটির সোনা, নজরে এই প্রভাবশালী নেতা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের ইডির অভিযান। এবার হানা মহারাষ্ট্রে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) প্রাক্তন এনসিপি (Nationalist Congress Party) কোষাধ্যক্ষ ঈশ্বরলাল জৈন, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং তাঁদের সাথে যুক্ত একাধিক সংস্থার দফতরে তল্লাশি চালায়। উদ্ধার হয় ১ কোটির বেশ নগদ টাকা এবং ২৫ কোটি টাকার ৩৯ কেজি সোনা-হীরের গহনা। সমস্ত অবৈধ সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

এনসিপি’র প্রাক্তন সাংসদ জৈন, ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতি সংক্রান্ত মানি লন্ডারিং মামলায় অভিযুক্ত। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের তিনি বিশ্বস্ত একজন ব্যক্তি। সহযোগী। ইডি জলগাঁও, নাসিক এবং থানে এলাকায় জৈনের ১৩টি এলাকার একাধিক সম্পত্তি তল্লাশি চালিয়েছে।

ed 2

ইডি বিবৃতিতে জানিয়েছে ‘জৈনের ছেলে মনীশের মোবাইল ফোন থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছেন আধিকারিকরা। ওই নথি থেকে জানা যাচ্ছে, মনীশের একটি রিয়েলটি ফার্মে লুক্সেমবার্গ ইউনিট থেকে ৫০ মিলিয়ন ইউরো বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগ করা হয়েছে।’

জলগাঁওয়ে দুটি বেনামি সম্পত্তি ছাড়াও, ইডি রাজমল লখিচাঁদ গ্রুপের ৫০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ৬০টি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকরা আরও বলেছেন জৈনের নামে তিনটি জুয়েলারি সংস্থার মালিকানা রয়েছে। সেই সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখে জানা যায় রাজমল লখিচাঁদ গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত একাধিক জায়গায় ভুয়ো কেনা বেচার চুক্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : হিন্দু মেয়ের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে! মুসলিম যুবকের বাবা-মা’কে পিটিয়ে হত্যা তরুণীর পরিবারের

এদিনের তল্লাশিতে ইডি ১৩০০ কেজি স্টকের মধ্যে মাত্র ৪০ কেজি গয়না খুঁজে পেয়েছে। ইডি আধিকারিকরা জানান ব্যবসায়ী ঈশ্বরলাল জৈনের তিনটি গহনা সংস্থার অ্যাকাউন্টের তদন্তে একাধিক জাল চুক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এই ক্ষেত্রে শরদ পাওয়ারের কোনোও যোগ ইডি পেয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর