বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য! রাজ্য তথা গোটা দেশের মধ্যে যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এত নাম ডাক, সেই যাদবপুর নিয়েই এখন আতঙ্কে কাঁটা সকলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্সের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্য মৃত্যুতে (Jadavpur University Student Death) কেও যেন খুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যান্ডোরা বক্স! র্যাগিং-এর তত্ত্ব নাকি আরও বড় ষড়যন্ত্র! পড়ুয়ার মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা। এদিকে নিত্যদিন তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।
শুধুই কি র্যাগিং, নেশা, বিশৃঙ্খলাতেই সীমাবদ্ধ? এই প্রশ্ন খুঁজতে গিয়েই সামনে ভুরিভুরি অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে নাকি দেদারে চলত ‘তোলাবাজি’ও। নতুন ছাত্রদের থেকে টাকা তুলতেন সিনিয়রেরা? এক স্বপ্নের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে নানা মহল থেকে উঠে আসছে এই রকমই অভিযোগ। যদিও তোলাবাজির অভিযোগ মানতে নারাজ হস্টেলের সিনিয়র আবাসিকদের অধিকাংশ।
কি যুক্তি তাদের? সিনিয়র আবাসিকদের কথায়, এমন অনেকে হস্টেলে অতিথি হিসাবে থাকে যারা খাতাকলমে হস্টেলের আবাসিক নন। তারা গেস্ট হিসেবে থাকে। তাই তাদের কাছ থেকে খাওয়া-দাওয়ার খরচ বাবদ ১০০০ টাকা করে নেওয়া হত। তাই এই টাকা নেওয়াকে ‘তোলাবাজি’ বলতে নারাজ তারা।
আরও পড়ুন: ছিলেন চা শ্রমিক, হবেন সাংসদ! তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইকের সম্পত্তির পরিমাণ অবাক করবে
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর পর একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ যাদবপুর। অভিযোগ, হস্টেলে চলত সিনিয়র ছাত্র, বিশেষ করে প্রাক্তনীদের দাপট। শুধুই যে পড়ুয়ারা ভয়ে গুটিয়ে থাকত তেমনটা নয়। হস্টেল সুপার থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী সকলের ওপরেই ছড়ি ঘোড়াতো প্রাক্তনীরা।
আরও পড়ুন: নিজের নাকতলার বাড়িতে কি কাজ করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? আদালতে ফাঁস করল CBI
গত ৯ অগস্ট হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় নদিয়ার স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। র্যাগিং করার ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অভিযোগ এমনটাই। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান পড়ুয়া মিলিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। কোথায় গিয়ে এই মৃত্যুর রহস্যভেদ হয়, সেই অপেক্ষায় সকলে।