বাংলা হান্ট ডেস্ক : কলকাতার বিখ্যাত পুজো কমিটির মধ্যে একটি হল শ্রীভূমি। সেই পুজো নিয়েই এবার সমস্যা দেখা দিল প্রশাসনিক স্তরে। একদিকে প্রশংসা, অন্যদিকে ধমক। জনসমক্ষেই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) শাসন শুনলেন সুজিত বসু। সুজিত মমতার মন্ত্রীসভার অতি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, রাজ্যের দমকলমন্ত্রী (Fire Brigade Minister) হওয়ার পাশাপাশি কলকাতার প্রখ্যাত শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের কর্তাও এই সুজিত বসুই(Sujit Basu)।
যানবাহন সচল রাখার পরামর্শ দিলেন মমতা : প্রত্যেক বছরই কার্যত উপচে পড়া ভিড় হয় শ্রীভূমি পুজো মন্ডপে। আসন্ন পুজোয় যাতে কলকাতার ভিআইপি এলাকায় যান চলাচলে প্রভাব না পড়ে ও বিমানবন্দরে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রভাবিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করতেই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)।
সবচেয়ে দুষ্টুমি বেশি করে সুজিত : মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) বাংলার দুর্গাপুজোর কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সবচেয়ে দুষ্টুমি করে সুজিত বোস। এমনভাবে এলাকাটা করে এয়ারপোর্ট থেকে লোক আসতে পারে না। পুলিসকে বলব এয়ারপোর্ট যাতে ডিসটার্ব না হয়। তুমি একটু দেখে করবে।’
ট্রান্সপোর্ট ব্লক হলে আমি তোমাকে ব্লক করব : এরপরই মমতা কার্যত ধমকের সুরে বলেন, ‘তুমি ফায়ার ব্রিগেড মিনিস্টার, তোমাকেও একটু মাথায় রাখতে হবে। শুধু তোমারটাতে লোক যাবে অন্যগুলোয় যাবে না, তোমার চালাকিটা আমি বুঝি। পুজোর সময় এয়ারপোর্টে কত লোক আসে। তুমি সব কর, ভাল করে করো, অভিনন্দন রইল, সবাইকে নিয়েই তুমি কাজ করো, এলাকা সাজিয়েছোও ভাল, কিন্তু দেখে নিতে হবে ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম যাতে চলে।’ মজার ছলে তাঁর বক্তব্য রাখার পরে খানিক ধমকের সুরে মুখ্যমন্ত্রী জোড়েন, ‘ট্রান্সপোর্ট ব্লক হলে আমি তোমাকে ব্লক করব।’
প্রসঙ্গত, এবারে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুজো কমিটি পিছু এবার ৭০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে বলেই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে পুজো কমিটিগুলিকে ৭০ হাজার টাকা অনুদান। বিদ্যুতের বিল এক চতুর্থাংশ মকুব, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন : ‘ছেলেটা সবে বিদেশ থেকে ফিরল, আর তারপরই…’, ED- র তৎপরতা নিয়ে সরব মমতা, করলেন বিস্ফোরক মন্তব্য
অনুদানের পাশাপাশি পুজো ও বিসর্জন নিয়ে কমিটিগুলোকে বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। যেমন বিসর্জনের জায়গায় স্থানীয় প্রশাসনকে আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। আপদকালীন পরিস্থিতি সামলানোর ব্যবস্থা, হাতের কাছে চিকিৎসক, নার্সদের রাখার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী