বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি মিটেছে পঞ্চায়েত ভোট। ফলাফল সকলের চোখের সামনে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের গ্রামবাংলায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গ তো দূর এমনকি বিজেপির অপেক্ষাকৃত শক্ত জমিতে উত্তরবঙ্গেও পদ্ম ফোটাতে ব্যর্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই নিয়ে বিস্তর চৰ্চা। ওদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সকলের নজর এখন সেদিকেই। কিভাবে পায়ের তলার জমি আরও মজবুত করা যায় সেই রণকৌশল ঠিক করতে ব্যস্ত সকল দল। এরই মাঝে অবাক কাণ্ড শিলিগুড়িতে।
শিলিগুড়িতে গেরুয়া শিবিরে পদত্যাগের হিড়িক! দলের স্থানীয় নেতৃত্বের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে দলের পদ ছাড়লেন শিলিগুড়ি (Siliguri) বিজেপির (BJP) জেলা সম্পাদক তথা স্থানীয় বিধায়ক দুর্গা মুর্মু সহ আরও ৩০ জন নেতা। একযোগে এত জন নেতার পদত্যাগের ঘটনায় রীতিমতো ‘থ’ সকলে।
আরও পড়ুন: আছে দু দেশেরই নাগরিকত্ব, ভোট এলেই ভারতে আর মিটলেই বাংলাদেশে! ধূপগুড়িতে শোরগোল
ঘটনা ঘিরে একদিকে যেমন শিলিগুড়িতে শোরগোল ছড়িয়েছে তেমনই চিন্তায় ঘাম ঝরছে রাজ্য নেতৃত্বেরও। তবে কী এমন হল যে এত বড় পদক্ষেপ! এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গিয়েছে দলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই কাণ্ড।
আরও পড়ুন: দিনে দুপুরে ফের গুলি! শক্তিগড়ে সোনার দোকানের ভেতরে যা হল, দেখলে আঁতকে উঠবেন
পদত্যাগী নেতৃত্বর অভিযোগ ঠিক কী অভিযোগ? সূত্র মারফত জানা গিয়েছে বহুদিন যাবৎ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও বিধায়ক আনন্দ রায়বর্মণ এই দুই নেতার গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে। ওদিকে সম্প্রতি সেই ঝামেলার আগুনে ঘি ঢেলেছে শঙ্কর ঘোষ ঘনিষ্ট অরুণ মণ্ডলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির দায়িত্ব লাভের ঘটনা।
অভিযোগ, এই অরুণ মণ্ডল নয়া দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নিয়ম ভেঙে একাধিক কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি বেছে বেছে দলের বিপক্ষ গোষ্ঠীর নেতৃত্বকে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে একাধিকবার মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো হলেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। তাই শেষমেশ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।
এই বিষয়ে অভিমানী বিজেপি বিধায়ক দুর্গা মুর্মু বলেন, “নেতৃত্বকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নানাভাবে দলের ভেতরেই অসম্মানিত হতে হচ্ছে। তাই একযোগে সকলে দলের পদ থেকে সরে দাঁড়ালাম।” তবে পদত্যাগ করলেও এই মুহূর্তে কেও কেউ দলত্যাগ করছেন না বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।
বিজেপি বিধায়কের কথায়, নেতৃত্ব এরপর এহেন সিদ্ধান্তে কী পদক্ষেপ নেন সেই দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন। অন্যদিকে এই খবরে যে রাজ্য নেতৃত্ব বেজায় চিন্তিত তারও প্রমাণ মিলেছে। সূত্রের খবর, নেতৃত্বর ক্ষোভ কমাতে আগামী ২৮ অগস্ট শিলিগুড়ি যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপর এই ঘটনা কোন মোড় নেয় সেটাই দেখার।