বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। পাশাপাশি, ISRO (Indian Space Research Organisation)-র হাত ধরে তৈরি হয়েছে ইতিহাসও। শুধু তাই নয়, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের সফল অভিযানের পর থেকে রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে ISRO এবং চাঁদ। তবে, ভারতের এই সাফল্যের আবহে অনেকেই রোমন্থন করছেন ৫০ বছর আগে আমেরিকার চন্দ্র অভিযানের স্মৃতি।
কারণ, সেই “অ্যাপোলো ১১ মিশন”-এই চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং এবং এডুইন অলড্রিন। যে অভিযানটি পরিচালনা করেছিল NASA (National Aeronautics and Space Administration)। এমতাবস্থায়, ওই গুরুত্বপূর্ণ অভিযান শেষ হওয়ার পর মহাকাশচারীদের একাধিক সাক্ষাৎকারের সম্মুখীন হতে হয়। যেখানে তাঁরা পৃথিবীবাসীর বিভিন্ন কৌতূহল নিরসন করেছেন। পাশাপাশি, তাঁদের কাছে খুঁটিয়ে জানতে চাওয়া হয় চাঁদে কাটানো প্রতি মুহূর্তের বিবরণও। আর সেইখানেই উঠে এসেছিল কিছু চমকপ্রদ তথ্য।
মূলত, ওই সমগ্র অভিযানে বিভিন্ন অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয় মহাকাশচারীদের। চাঁদে মোট ২১ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট কাটিয়েছিলেন তাঁরা। এমতাবস্থায়, নাসার একটি রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার প্রথম থেকেই বিজ্ঞানীদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় মল-মূত্র ত্যাগের মতো শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াগুলি। এমনকি, চাঁদে পৌঁছে ওই বিষয়টিতেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মহাকাশচারীদের।
আরও পড়ুন: কেন শ্রীহরিকোটা থেকেই রকেট উৎক্ষেপণ করে ISRO? এর পিছনের কারণ অবাক করবে গোটা বিশ্বকে
আসলে যে মহাকাশযানে চেপে আর্মস্ট্রংরা চাঁদে পাড়ি দিয়েছিলেন সেটিতে কোনো শৌচাগারের ব্যবস্থা না থাকায় মলমূত্র ত্যাগের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি প্লাস্টিকের ব্যাগ পাঠিয়েছিল নাসা। পাশাপাশি মূত্রত্যাগের জন্য কন্ডোমের মতো একপ্রকার নলের ব্যবস্থা করা হয়। তার মাধ্যমেই প্লাস্টিকে পৌঁছে যেত তরল। শুধুমাত্র পুরুষদের জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয় নাসার তরফে।
আরও পড়ুন: তিন মাস ধরে বেতন না পেয়েই চন্দ্রযান-৩ মিশন সম্পন্ন করেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা? সামনে এল আসল সত্য
এদিকে, মলত্যাগের জন্য ছিল আলাদা প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবস্থা। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অ্যাপোলো অভিযানের মহাকাশচারীদের মলমূত্র ত্যাগের সমগ্র প্রক্রিয়াতে ৪৫ মিনিটের বেশি সময় লেগেছিল বলে জানা গিয়েছে। এমনকি, আর্মস্ট্রং, অলড্রিনরা যখন চাঁদে নেমেছিলেন তখন তাঁরা ডায়াপার পরে ছিলেন।
এদিকে, চাঁদে কাটানো সেই ২১ ঘণ্টায় কিন্তু মহাকাশচারীরা চাঁদের পরিবেশে আড়াই ঘণ্টা ঘোরেন। সেই সময়ে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি ছবি এবং ভিডিয়ো তোলেন তাঁরা। চাঁদের মাটিতে গেঁথে দিয়ে আসেন আমেরিকার জাতীয় পতাকাও। তারপর লুনার মডিউলে ফিরে গিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা তাঁরা বিশ্রাম নেন। উল্লেখ্য যে, অ্যাপোলো অভিযানের বাজেট ছিল ২,৪৫০ কোটি ডলার।