বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ আজ যখন ডুরান্ডের (Durand Cup) কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচ খেলতে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) এবং গোকুলাম কেরালা একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছিল, তখন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ৪ বছর আগের একটা স্মৃতি মনে আসতে বাধ্য। এই ডুরান্ড কাপেরই নকআউটে গোকুলামের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রায় ৯০ মিনিট অবধি এগিয়ে থেকে তারপর গোল হজম করে এবং শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হেরে ফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করেছিল ইস্টবেঙ্গল। তাই আজ কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা যখন বৃষ্টির মধ্যে যুবভারতীতে নামছিল, তখন প্রবল চিন্তায় ছিলেন সমর্থকরা।
কিন্তু ম্যাচের এক মিনিটের মধ্যেই সমর্থকদের চিন্তা কিছুটা কমিয়ে দেন নতুন লাল হলুদ ডিফেন্ডার ইলসে। বুদ্ধিদীপ্ত কর্ণার থেকে পাওয়া সেকেন্ড বলে হেড করে ৪৪ সেকেন্ডের মধ্যে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। প্রথমার্ধে গোকুলামকে রীতিমতো চাপে রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। একবার শট পোস্টে লেগেও ফেরে। কিন্তু ১-০ ফলেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরে গোকুলাম। দুর্দান্ত ভঙ্গিতে আক্রমণ তুলে এনে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে চাপে ফেলতে শুরু করে তারা এবং তার ফলস্বরূপ ৫৭ মিনিটে সেট পিস থেকে বিদেশি ডিফেন্ডার বউবার হেড করা গোলে সমতায় ফেরে কেরালার দলটি। এই সময় ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারদের রীতিমতো বেকায়দায় দেখাচ্ছিল।
তবে কোচের কিছু স্ট্র্যাটেজির পরিবর্তনের কারনে ফের একবার ম্যাচের দখল নিতে শুরু করে লাল হলুদ দল। বেশকিছু ফুটবলার পরিবর্তন করে আক্রমণে ঝাঁঝ আনেন কুয়াদ্রাত। তার ফলস্বরূপই ৭৮ মিনিটে বক্সে বিপদজনকভাবে আসা ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের জালে নিজেই বল জড়িয়ে দেন কিছুক্ষণ আগেই গোকুলাম কেরালাকে সমতায় ফেরানো বউবা।
আরও পড়ুন: ফাইনালের আগে হবে না ডার্বি! ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে কঠিন প্রতিপক্ষর সামনে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান
দ্বিতীয়বার এগিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচ এবং বলেন দুটোই নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার। মাঝমাঠে পার্দো, সাউল ক্রেসপোরা অসাধারণভাবে বল নিজেদের দখলে রাখতে থাকেন। আজকের ম্যাচে প্রশংসনীয় গোলরক্ষকের ভূমিকা পালন করেছেন গিল। এবার সেমিফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেড মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচে আজকের চেয়েও বেশি পড়া পরীক্ষার মুখোমুখি করতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।