বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল ছিল ২৮ অগস্ট তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবস। প্ৰতি বছরের মতো এবছরেও মেয়ো রোডে গান্ধীর মূর্তি পাদদেশে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হল সারম্বরে। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এবং তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের এই সমাবেশে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে কর্মী-সমর্থকেরা। আর অবশ্যই প্রতিবছর ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সেখানে ভীড় করেন। গতকালও পড়ুয়াদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সকলের সামনে বক্তৃতা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। ছাত্র জীবন থেকে শারীরিক অসুস্থতা, সবটাই উঠে এল তার কথায়।
ঠিক কী কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন নিজের কলেজ জীবনের স্মৃতি হাতড়ে মমতা বলেন, ‘আমাদের অনেক কষ্ট করে রাজনীতি করতে হয়েছে। যোগমায়াদেবী কলেজে পড়ার সময় আমি সেখানকার ছাত্র পরিষদের ইউনিটের সভাপতি ছিলাম। মাদার ডেয়ারিতে কাজ করে, সকালে কলেজ যেতাম। যা আয় হত সেই টাকা দিয়ে দলের পতাকা কিনতাম। আমাদের মূল লড়াই ছিল ডিএসও-র সঙ্গে। ওরা আমাকে দলে টানার অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি।’
আরও পড়ুন: ফের শ্যুটআউট! বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যুবককে গুলি, ভাটপাড়ার ঘটনায় শিউরে উঠবেন
নিজের শরীরের একাধিক ক্ষতের কথাও তুলে ধরেন মমতা। বলেন, ‘সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আগেও অনেক কিছু ঘটেছে। আমার মাথায় ডান্ডা দিয়ে মারার চেষ্টা করেছে। আমার হাতের হাড় ভেঙে গিয়েছে। ১৯৯৩ সালের ২১শে জুলাই আমাকে কোমরে মেরেছে। মার খেয়ে কোমরে আঘাত লেগেছে। এখনও আমি কোমরে বেল্ট ছাড়া রাস্তায় গিয়ে হাঁটতে পারি না।’
শারীরিক সমস্যার কথা জানিয়ে মমতা আরও বলেন, ‘আমার হাতে একাধিকবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ইদানিং আমার চোখে একটু অসুবিধা হচ্ছে। আমাকে ডাক্তার দেখাতে হবে, কিন্তু সময় পাচ্ছি না। সারা শরীর আমার ভগ্ন। আমি জিন্দা লাশ হয়ে বেঁচে রয়েছি।’
আরও পড়ুন: বিরাট সুখবর! পুজোর আগেই বাড়তে পারে রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন, জানুন কবে
এরপরেই তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘তবু জেদ ছিল সিপিএমকে বাংলা থেকে সরাব, আমরা সরিয়েছে। কেউ ভাবতে পারেনি যে বাংলা থেকে সিপিএম বিদায় নেবে, কিন্তু সেটা হয়েছে। আজও আমাদের লড়াই দিল্লি থেকে বিজেপিকে সরানোর। আমি চাই এই যুদ্ধে আপনারা সকলে বাঘ-সিংহের মতো লড়াই করুন।’