বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে শোরগোল রাজ্যে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বাংলা জুড়ে ধুন্ধুমার। এরই মধ্যে এবার ভুয়ো শিক্ষক নিয়ে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভুয়ো শিক্ষকেরাই নাকি চালাচ্ছে বিএড কলেজ (B.ED College) ! শুধু তাই নয়, তাদের বেতনও ভুয়ো। এই ভুয়ো চক্র ফাঁস হতেই এবার রাজ্য তোলপাড়।
ঘটনাটা কি? জানা যাচ্ছে রাজ্যের অধিকাংশ বিএড কলেজেই শিক্ষক নেই। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় ভুয়ো শিক্ষক দেখিয়ে দিনের পর দিন অবাধে চলছে সেসব কলেজ। এক দুটি নয়, রাজ্য জুড়ে এমন বহু কলেজের হদিস মিলেছে। কলেজগুলির কাছে না রয়েছে উপযুক্ত কাগজপত্র, এমনকি NCTE ২০১৪ সালের নিয়ম অমান্য করেই চলছে সেসব কলেজ।
সূত্রের খবর, এই এইরকমই একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছে বাবা সাহেব অম্বেদকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় তরফে ওই কলেজ গুলির কাছে বিজ্ঞপ্তি জারি করে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আমি জিন্দা লাশ হয়ে বেঁচে রয়েছি’, হঠাৎ কেন এমন বললেন মমতা, কিসের কষ্ট তার?
জানা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই তথ্য কলেজ গুলি জমা করতে না পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ। এমনকি একজোটে বাতিল হতে পারে সেই সব কলেজের অনুমোদনও। প্রসঙ্গত শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক দুর্নীতি সামনে আসার পরই একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে বিএড কলেজ গুলির বিরুদ্ধে।
এই নিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। অন্যদিকে সম্প্রতি বিএড কলেজ গুলি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বেশ কিছু বিএড কলেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ওই কলেজগুলির লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের ওপরে স্থগিতদেশ দেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: কারা ভাইরাল করেছে তার নাচের ভিডিও? অবশেষে মুখ খুললেন রাজন্যা, বললেন…
ওই কলেজেগুলির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যপাল পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও তলব করেন। রাজভবনের নির্দেশের পরই তৎপর হয় অম্বেদকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়। শুরু হয় তদন্ত। এরপরই যা রিপোর্ট উঠে আসে তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।
তদন্তে জানা যায় বিএড কলেজগুলিতে নগদে চলছে আর্থিক লেনদেন। না আছে শিক্ষক, আর নাই মানা হচ্ছে NCTE-র গাইডলাইন। খাতায় কলমে ভুয়ো শিক্ষক দেখিয়ে চলছে কাজ। আর ভুয়ো শিক্ষককে বেতন দিতেও বিরাট ফন্দি। অভিযোগ, ভুয়ো শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে পরবর্তীকালে ডেবিট কার্ড দিয়ে সেই টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে। এবার অভিযোগ প্রমাণ হলে এইসব কলেজ গুলির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।