বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনেকেরই স্বপ্ন থাকে পড়াশুনা শেষ করে ভালো চাকরি পাওয়ার। তবে ভালো চাকরি পেতে গেলে চাই অধ্যাবসা ও পরিশ্রম। এই অধ্যাবসা ও পরিশ্রমই একজনকে নিয়ে যেতে পারে শীর্ষস্তরে। আমাদের দেশের অনেক তরুণ-তরুণীর স্বপ্ন থাকে আইপিএস অফিসার হওয়ার। আইপিএস হওয়ার জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষা দিতে হয় প্রার্থীকে।
বলা হয় এই পরীক্ষা ভারতের অন্যতম কঠিন একটি পরীক্ষা। আইপিএস (Indian Police Service) পদে আসীন হলে সামাজিক মর্যাদা তো বৃদ্ধি পায়, তারই সাথে থাকে মোটা বেতন। মোটা বেতনের পাশাপাশি একাধিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যায় আইপিএস অফিসার হলে। আমরা আজ সেই সম্পর্কেই আলোচনা করব।
একজন আইপিএস অফিসারের মূল দায়িত্ব হল তার এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা। আইপিএস অফিসারদের সুবিধা পে-ব্যান্ডের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বাড়ি ও গাড়ি পেয়ে থাকেন আইপিএস অফিসার। পদের ভিত্তিতে বাড়ি ও গাড়ির ধরন ও আকার নির্বাচিত হয়। এছাড়াও পদ অনুযায়ী তারা পেয়ে থাকেন ড্রাইভার, হাউস হেল্প এবং সিকিউরিটি গার্ড।
আরোও পড়ুন : বাবা চাষি, টিউশন করে চালিয়েছেন পড়াশোনা! WBCS ক্র্যাক করে BDO হলেন মুর্শিদাবাদের মেয়ে
এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে আইপিএস অফিসারদের দেওয়া হয় চিকিৎসা, বিদ্যুৎ ও ফোনের বিল। ৭ম বেতন কমিশন অনুযায়ী একজন আইপিএস অফিসারের বেসিক স্যালারি ৫৬,১০০ টাকা। এই বেতনের সাথে যুক্ত হয় মহার্ঘ ভাতা ও অন্যান্য ভাতা। আইপিএস অফিসারেরা প্রমোশন পেয়ে ডিজিপি হতে পারেন। ২.২৫ লক্ষ টাকা মাসিক বেতন হয় ডিজিপির।
আরোও পড়ুন : লক্ষ্য লোকসভা! রেশন কার্ড নিয়ে বড়সড় মাস্টারস্ট্রোক মোদি সরকারের
এছাড়াও একাডেমিক ছুটি নিয়ে একজন আইপিএস অফিসার দেশ ও বিদেশে পড়াশোনা করতে পারেন। এছাড়াও নিয়ম অনুযায়ী থাকে 30 দিনের EL এবং 16 দিনের CL। সন্তানদের শিক্ষাদানের জন্য দেওয়া হয় বার্ষিক ভাতা। এছাড়াও আইপিএস অফিসার ও তার পরিবারের চিকিৎসার জন্য খরচ বহন করে সরকার। অন্যদিকে বছরে একবার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিবারের সাথে ভ্রমন করার সুবিধা পান আইপিএস অফিসার।
UPSC সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এবং রাজ্য স্তরের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইপিএস অফিসার হওয়া যায়। UPSC পরীক্ষায় সেক্ষেত্রে থাকতে হবে ভালো র্যাঙ্ক। রাজ্য স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ডিএসপি হওয়ার পর একজন আইপিএস অফিসার হতে পারেন। সেক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে ১৫ থেকে ২০ বছর। এছাড়া রয়েছে কিছু শারীরিক মানদণ্ড যা অবশ্যই প্রয়োজন হয়।