মেধাহীন চাকরিপ্রার্থীর নেই শিক্ষিকা হওয়ার যোগ্যতা! পর্ষদের বক্তব্যে বিচারপতি গাঙ্গুলী যা করলেন…..

বাংলাহান্ট ডেস্ক : টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাননি চাকরি। প্রাথমিকে নিয়োগের মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) এবার দেখতে চাইলেন চাকরিপ্রার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সেই ভিডিও আদালতে জমা দিতে।

আমিনা পরভিন নামের এক পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। সেই বছরের টেট পরীক্ষায় ভুল ছিল ছয়টি প্রশ্ন। আদালতের নির্দেশের পর অন্যান্য প্রার্থীদের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৬ নম্বর যোগ হয় আমিনা পরভিনের খাতাতেও। এরপর তার মোট প্রাপ্ত নম্বর হয়ে দাঁড়ায় ৮২।

আরোও পড়ুন : এবার অভিষেকের কেন্দ্রে চরম অ্যাকশনে ED, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় এজেন্সির! তুঙ্গে শোরগোল

টেটে উত্তীর্ণ হওয়ার নূন্যতম নম্বর ৮২। পরীক্ষায় নম্বর বৃদ্ধি পাওয়ার পরে চাকরির দাবি করেন আমিনা। কিন্তু অভিযোগ তা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলাটিতে গত ১৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ওই পরীক্ষার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ইন্টারভিউয়ের বন্দোবস্ত করতে বলেন।

আরোও পড়ুন : যাদবপুরে সিসিটিভি বসানোর জন্য মোটা টাকা বরাদ্দ, কবে থেকে শুরু হবে কাজ?

এমনকি ওই পুরো ঘটনার ভিডিও করার নির্দেশ দেন তিনি। এই মামলার শুনানিতে বুধবার পর্ষদ জানায়, চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা নেই আমিনার। পর্ষদ অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ইন্টারভিউয়ের পর এই সিদ্ধান্তে এসেছে। এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ইন্টারভিউয়ের ভিডিও পর্ষদকে আদালতে জমা দেওয়া নির্দেশ দেন।

1649853177 justice abhijit ganguly

বিচারপতি বলেছেন, আদালতের নির্দেশ মতো মামলাকারী এর আগে উপযুক্ত নম্বর পেয়েছিলেন।  তারপরেও নিয়োগ না হওয়ায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে তাকে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়। কিন্তু তারপরেও চাকরি না পেয়ে ওই প্রার্থী ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আজ জানিয়েছে যথেষ্ট মেধা নেই ওই প্রার্থীর। আদালত সেই ভিডিও দেখে নিশ্চিত হতে চাইছে।

ad

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর