বাংলা হান্ট ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan-3)-এর ঐতিহাসিক সাফল্যের পর সমগ্ৰ বিশ্বকে অবাক করেছে ISRO (Indian Space Research Organisation)। তবে, সেই সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পরবর্তী মিশনের জন্য প্রস্তুত বিজ্ঞানীরা। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল চাঁদের পর এবার ISRO-র টার্গেট হল সূর্য। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই শনিবার ঠিক সকাল ১১ টা বেজে ৫০ মিনিটে সূর্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতে চলেছে আদিত্য এল-১।
তবে, তার আগে এই মিশনের সামগ্রিক মঙ্গল কামনায় মন্দিরে পুজো দিতে গেলেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, তিরুপতি মন্দিরে পুজো দিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার মহিলা বিজ্ঞানীরা। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চন্দ্রযান ৩-এর উৎক্ষেপণের আগেও তিরুপতি মন্দিরে পুজো দিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ISRO-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। পাশাপাশি, সেখানে পুজো দিয়েছিলেন মহিলা বিজ্ঞানীরাও।
শুধু তাই নয়, গত ২৩ অগাস্ট চন্দ্রযান-৩-এর চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে ল্যান্ডিংয়ের পর এস সোমনাথ পুজো দেন ভদ্রকালী মন্দিরেও। এদিকে, বিজ্ঞানী হয়েও তিনি কেন মন্দিরে পুজো দিতে যান? একাধিকবার এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে সোমনাথকে। তবে, চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর সেই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাত বাড়লেই বাড়বে বিপদ! দক্ষিণবঙ্গের এই ৯ জেলায় তুমুল দুর্যোগের পূর্বাভাস, জারি সতর্কতা
এস সোমনাথ বলেন, “আমি একজন বিজ্ঞানী হলেও অন্তরাত্মার শান্তির জন্য আমি মন্দিরে আসি। আমি মন থেকে ঈশ্বরের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আমি একজন অনুসন্ধানী। বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতা, উভয়েই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ আমার জীবনে। ঈশ্বরের কাছে পুজো দেওয়ার বিষয়টি আমাদের সংস্কৃতির একটি অঙ্গ।”
আরও পড়ুন: ১৬৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান পেল রেল, জয়া ভার্মা সিনহার পরিচয় অবাক করবে
তবে, এবার আদিত্য এল-১ মিশনের সাফল্য কামনায় ISRO-র মহিলা বিজ্ঞানীরা পৌঁছে যান অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে। সেখানে আদিত্য এল-১-এর একটি মিনিয়েচর নিয়ে বিজ্ঞানীরা মন্দিরে যান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, শনিবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সকাল ১১ টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ মহাকাশে পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১।
মূলত, সূর্যের দিকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার কক্ষপথে প্রতিস্থাপিত করা হবে এই উপগ্রহটিকে। পাশাপাশি, সূর্যের এল-১ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছতে আদিত্য এল-১-এর মোট ১২৭ দিন সময় লাগবে। সূর্যের সমস্ত গতিবিধি ভালোভাবে লক্ষ্য করা ছাড়াও সূর্যগ্রহণ, সৌরঝড় সহ সূর্যের নানাবিধ পরিস্থিতির সাক্ষী থাকবে উপগ্রহটি। এছাড়াও, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছবিও ISRO-কে পাঠাতে থাকবে সে।