বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ রাত পোহালেই আরও একবার কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby)। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ফাইনালে আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার মুখোমুখি হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান (East Bengal vs Mohun Bagan)। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইতিমধ্যেই একবার মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। সেই ম্যাচে অঘটন ঘটিয়ে নিজেদের চেয়ে দ্বিগুণ দামি স্কোয়াড সম্পন্ন মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসকে ১-০ ফলে হারিয়েছিল কার্লেস কুয়াদ্রাতের ইস্টবেঙ্গল।
এবার ফাইনালে চলতে মরশুমের দ্বিতীয় সাক্ষাতের আগে বড় ম্যাচের উত্তাপে আঁচটা রয়েছে একেবারে গনগনে। মোহনবাগান সমর্থকরা বদলার আশায় উন্মত্ত। খাতায়-কলমে অনেক বেশি শক্তিশালী দল নিয়েও ইস্টবেঙ্গলের কাছে হার তাদের সহ্য হয়নি। অপরদিকে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের অভিযোগ রেফারির অনৈতিক কিছু সিদ্ধান্তের সাহায্যেই ফাইনালে পৌঁছেছে। রবিবার যে দলই জয় পাক না কেন, বিপক্ষ দলের সমর্থকদের পক্ষে সেই পরাজয় সহ্য করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে সেটা বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছে এখন থেকেই।
আর সমর্থকদের এই ঝামেলায় এবার যুক্ত হয়ে পড়েছেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের শীর্ষকর্তারাও। রীতিমতো রেফারির অনৈতিক সিদ্ধান্তের ছবি হাতে নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মোহনবাগানের সুবিধা পাওয়া নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন নিয়েও অনৈতিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে মোহনবাগানকে, এমন অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
জবাবে পাল্টা দিয়ে মোহনবাগানের দেবাশীষ দত্ত জানিয়েছেন অতীতে এইরকম খেলা খেলে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান শীর্ষ কর্তারা বড় ম্যাচের আগে অপরের ওপরে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করত। কিন্তু ফুটবলটা এখন অনেক এগিয়ে গেছে। আর ইস্টবেঙ্গল নর্থইস্টের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচ জেতার পরেই ওদের কোচ সেই দলের কচি যে কিছু অভিযোগ তুলেছিল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে সেগুলোর জবাব কে দেবে?
আরও পড়ুন: “এই মাঠেই বদলা নেওয়া হবে”, ডুরান্ড ফাইনালের আগে ইস্টবেঙ্গলের উদ্দেশ্যে হুঙ্কার মোহনবাগান ভক্তদের
এত উত্তেজনার কারনে ডার্বির টিকিটের চাহিদাও বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু এখানেই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে দুই দলের সমর্থকরা। ব্ল্যাকারদের দৌড়াতে ১০০ টাকার টিকিট কিনতে হচ্ছে ৫০০ টাকা দিয়ে। ক্লাবগুলির সামনে টিকিটের লম্বা লাইন, কিন্তু টিকিটের পর্যাপ্ত যোগান নেই। ডুরান্ড কমিটির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ দুই দলের সমর্থকরাই। এত বড় ও ঐতিহ্যবাহী একটি টুর্নামেন্ট যেভাবে আয়োজন করা হচ্ছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন কোনও দলের সমর্থকরা। অনেকে এই টিকিট দুর্নীতির পেছনে রাজনৈতিক যোগের ইঙ্গিত পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে বলা যায় যে মহারণের আগে টিকিটের সমস্যাকে কেন্দ্র করে দুই দলের সমর্থকরা যেন একত্রিত হয়ে উঠেছেন।