কাজ করছে না পঞ্চায়েত, বেতনের টাকায় রাস্তা সারাই চন্দনার! স্বামীর সঙ্গে দিনমজুরি BJP বিধায়কের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হেভিওয়েট না হলেও সবসময় শিরোনামে থাকেন পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সবথেকে দরিদ্র বিধায়ক চন্দনা বাউরি (Chandana Bauri)। একুশের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পড় থেকেই তিনি গেরুয়া শিবিরের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তাঁকে নিয়ে হাজারো পোস্ট করেছেন বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা। এরপর তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন চন্দনা।

চন্দনা আদতে এক খেটে খাওয়া মানুষ। স্বামী শ্রাবণ একজন রাজমিস্ত্রী। চন্দনা নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে তাঁর সঙ্গেই কাজ করতেন। থাকেন এক চালা এক বেড়ার ঘরে। সেই ঘরে আবার তাঁর গরুও থাকে। অভাবের মধ্যেও চন্দনার তাঁর দুই সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করার পণ নিয়েছেন। এমনকি নিজে আবাস যোজনার বাড়িও পাননি।

তবে, বর্তমানে আবারও শিরোনামে উঠে এসেছেন চন্দনা। দলীয় কাজ এবং এলাকার দায়িত্ব কাঁধে থাকায় এখন আর স্বামীর সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর কাজে যেতে পারেন না তিনি। তবে এবার সেই এলাকার উন্নয়নের জন্যই আবারও স্বামীর সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর জুটলেন বিজেপির সবথেকে দরিদ্র বিধায়ক। চন্দনার দাবি মতে, এলাকার একটি রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে পড়ে আছে। অবস্থা এটাই খারাপ যে, মানুষ সেখান থেকে যাতায়াত করতে পারেন না।

চন্দনা অভিযোগ করে বলেন যে, স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বারবার জানানো স্বত্বেও এই রাস্তা মেরামতির কোনও দায়িত্ব নেয়নি। অগত্যা এবার চন্দনা নিজেই রাস্তা মেরামতির কাজে নেমে পড়লেন। সঙ্গে তাঁর রাজমিস্ত্রী স্বামীও রয়েছেন। চন্দনা জানান, রাঙামেট্যা থেকে কেলাই হয়ে রাজামেলা গ্রামে যাওয়ার মূল রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল। আমি বিজেপি বিধায়ক বলে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত রাস্তা মেরামত করার উদ্যোগ নিচ্ছে না।

চন্দনা আরও জানান, বিধায়ক কোটা থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হলেও তৃণমূলের তরফ থেকে বাধা দিয়ে রাস্তা মেরামতির কাজ আটকে দেওয়া হচ্ছে। আর এবার এই কারণে তিনি নিজের বেতনের থেকে কিছু টাকা দিয়ে পাথর ও ইটের গুঁড়ি কিনে স্বামীকে নিয়ে নিজেই রাস্তা মেরামতির কাজে নেমে পড়েছেন। চন্দনার এই উদ্যোগে একদিকে এলাকাবাসী যেমন ধন্য ধন্য করছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফ থেকে গোটা ঘটনাকে নাটক বলে দাবি করা হচ্ছে।

ad

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর