বাংলা হান্ট ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)-এর বিরাট সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই ইতিমধ্যেই আদিত্য-L1 (Aditya L-1) মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ISRO (Indian Space Research Organisation)। এমতাবস্থায়, ওই মিশন সংক্রান্ত একটি চমকপ্রদ বিষয় সামনে আনল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। বৃহস্পতিবার ISRO জানিয়েছে যে, সূর্য-পৃথিবীর L1 পয়েন্টের জন্য নির্ধারিত আদিত্য-L1 সেলফি তোলার পাশাপাশি এবং পৃথিবী ও চাঁদের সুন্দর ছবিও তুলেছে। এদিকে, ISRO সেই ছবি টুইট করে সামনে এনেছে।
২ টি কক্ষপথের চক্কর সম্পন্ন হয়েছে: স্পেসক্রাফট আদিত্য-L1 ইতিমধ্যেই ২ টি কক্ষপথের চক্কর সম্পন্ন করেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর আদিত্য-L1 সফলভাবে পৃথিবীর সাথে সম্পর্কিত দ্বিতীয় কক্ষপথটি সফলভাবে অতিক্রম করে। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর, আদিত্য-L1 দেশের প্রথম সূর্য মিশনের লক্ষ্যে পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করেছিল।
পৃথিবী থেকে L1-এর দূরত্ব: জানা গিয়েছে, মহাকাশযানটি ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট L1-এ ট্রান্সফার অরবিটে স্থাপন করার আগে আরও দু’টি পৃথিবী-বাউন্ড কক্ষপথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। ISRO অনুসারে, আদিত্য-L1 প্রায় ১২৭ দিন পরে L1 পয়েন্টে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, আদিত্য-L 1 হল প্রথম ভারতীয় মহাকাশ-ভিত্তিক অবজারভেটরি যা প্রথম সূর্য-পৃথিবী ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান বিন্দু (L1)-র চারপাশে একটি কক্ষপথ থেকে সূর্যকে নিরীক্ষণ করবে। যেটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর, ISRO-র শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে আদিত্য-L1-এর সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে এবার দ্বিতীয় অবতরণ বিক্রমের! ঠিক কি কাণ্ড ঘটালেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা? জানলে চমকে উঠবেন
আদিত্য L1-কে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে: ৬৩ মিনিট এবং ২০ সেকেন্ডের উড়ানের পরে, আদিত্য-L1-কে সফলভাবে পৃথিবীর চারপাশে ২৩৫x১৯৫০০ কিলোমিটারের একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। আদিত্য-L1 ৭ টি পেলোডও বহন করছে।
https://twitter.com/isro/status/1699663615169818935?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1699663615169818935%7Ctwgr%5Edc3637585207624732bdc3ee1bdc39832471d341%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.indiatv.in%2Findia%2Fnational%2Faditya-l1-took-selfie-and-beautiful-picture-of-moon-and-earth-isro-shared-2023-09-07-986688
এমতাবস্থায়, ISRO জানিয়েছে যে পেলোডের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পার্টিকেল এবং ম্যাগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর ব্যবহার করে ফটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার এবং সূর্যের সবচেয়ে বাইরের স্তরগুলি (করোনা) পর্যবেক্ষণ করা হবে। বিশেষ সুবিধাজনক বিন্দু L1-কে ব্যবহার করে চারটি পেলোড সরাসরি সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করবে এবং বাকি তিনটি পেলোড ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট L1-এ কণা এবং ক্ষেত্রগুলির ইন-সিটু গবেষণা পরিচালনা করবে বলেও জানা গিয়েছে।