বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন দুপুর বেলা স্কুলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয় পড়ুয়াদের খাবারের। সপ্তাহের অধিকাংশ দিন এই মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের সাধারণত ভাত-ডাল-তরকারি বা ডিম দেওয়া হয়। মাছ-মাংস যে দেওয়া হয় না সেটা কিন্তু নয়।
বিশেষ বিশেষ উৎসবের দিনে কখনো কখনো পড়ুয়াদের পাতে পড়ে মাংস-ভাত। কিন্তু হঠাৎ যদি মিড ডে মিলে পড়ুয়ারা বিরিয়ানি পেয়ে যান তাহলে কেমন হয় বলতে পারেন? স্কুলের পড়ুয়াদের বহুদিনের ইচ্ছা ছিল যে মিড ডে মিলে বিরিয়ানি খাওয়ানো হোক। পড়ুয়াদের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে এগিয়ে এসেছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
আরোও পড়ুন : মাসিক ১ লাখ পেনশন, তার উপর…. কেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেতন নেন না খোলসা করলেন মমতা
ছাত্র-ছাত্রীদের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য তাঁরা মিড ডে মিল আয়োজন করলেন বিরিয়ানির। সরকার নির্ধারিত মিড ডে মিলের মেনুতে বিরিয়ানি বা ওই জাতীয় খাবার নেই। কিন্তু পড়ুয়াদের ইচ্ছা পূরণ করতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের উদ্যোগে বিরিয়ানি খাওয়ালেন পড়ুয়াদের। শিক্ষক দিবসের দিন এহেন অভিনব উদ্যোগ নিলেন তাঁরা।
আরোও পড়ুন : ‘শূকরের সঙ্গে মারপিট কোরো না!’ মন্ত্রিসভায় রদবদলের মধ্যেই বাবুলের পোস্ট, বাড়ছে জল্পনা
একঘেয়ে ভাত-ডাল-চচ্চড়ির বদলে দুপুরের মেনুতে বিরিয়ানিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বাচ্চারাও।ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড় রাজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মিড ডে মিলে আয়োজন করা হয় সুস্বাদু বিরিয়ানির। এক পড়ুয়ার কথায়, খুব ভালো লাগছে বিরিয়ানি খেয়ে। খুব খুশি আমরা। ভালো খেতে হয়েছে বিরিয়ানি।
বিরিয়ানির সাথে ছিল স্যালাড। শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে পড়ুয়াদের উদ্যোগে নাচ-গান-আবৃত্তি পরিবেশন করা হয় প্রথমে। এরপর স্কুলের এক শিক্ষক চন্দ্রযান ৩ নিয়ে তাঁর লেখা একটি কবিতা পাঠ করে শোনান। এরপর পড়ুয়াদের চমকে দিয়ে মিড ডে মিলে শিক্ষকরা আয়োজন করেন বিরিয়ানির।