বাংলা হান্ট ডেস্ক : কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, আসমুদ্রহিমাচল এখন শাহরুখ (Shah Rukh Khan) জ্বরে কাবু। ‘জওয়ান’ (Jawan) আর কিং খানের আলোচনার বাইরে আর বেরোতেই চাইছেনা কেউ। আর সেই সাথে উঠে আসছে দক্ষিণী পরিচালক অ্যাটলি কুমারের নামও। একটার পর একটা রেকর্ড ভেঙে চলেছে এই জুটি। তবে তার মাঝেই দেখা দিল গন্ডগোলের হাওয়া।
চারিদিকে ‘জওয়ান’ নিয়ে এত হইচই, এত মাতামাতির মধ্যে সামনে এল গল্প চুরির মত বড় অভিযোগ। আর তাও কি না অ্যাটলি কুমারের বিরুদ্ধে। দর্শকদের একাংশের দাবি, ‘জওয়ান’র গল্পে নাকি নতুন কিছুই নেই। সবটাই টোকা হয়েছে একটি তামিল ছবি থেকে। এই নিয়ে টুইটারে ট্রেন্ডও শুরু করেছে কিছু মানুষ।
দর্শকদের একাংশের দাবি, ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি তামিল ছবি থেকে টুকে জওয়ান বানিয়েছেন অ্যাটলি কুমার। ছবিটির নাম ‘থাইনাডু’, যার বাংলা অর্থ হল মাতৃভূমি। এই ছবিতেও সত্যরাজকে পিতা এবং পুত্রের দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও আরও অনেক কিছুতেই মিল খুঁজে পেয়েছে অডিয়েন্স।
আরও পড়ুন : নুসরতের সঙ্গেই পড়েছে ডাক! এবার ED-র সমন নিয়ে মুখ খুললেন রূপরেখা, যাবেন হাজিরা দিতে?
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার ঐ ছবির পোস্টার শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘জওয়ানের অরিজিনাল তামিল সংস্করণ ১৯৮৯”। আর এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। যদিও শাহরুখ ভক্তদের দাবি, ছবিতে খানিক দক্ষিণী সিনেমার ছাপ থাকলেও জওয়ানের গল্প একেবারেই মৌলিক। এটাকে কপি পেস্ট বলা যায়না।
আরও পড়ুন : খুদে কমলা-মানিকের বিদায়! TRP তুলতে রাতারাতি লম্বা লিপ, বড়বেলায় অভিনয় করবেন কারা?
তবে এতেও কিন্তু সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়নি। এর আগেও তার বিরুদ্ধে গল্প চুরি করার অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৯ সালে ‘বিগলী’ মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকদের দাবি ছিল, এই ছবি নাকি ‘স্ল্যামসসার’ নামের একটি ছবির অনুকরণে তৈরি। সেবার এই অভিযোগ এনেছিলেন, ওই ছবির নির্মাতা নন্দী চিন্নি রেড্ডি। এর আগেও ২০১৬ সালের ‘থেরি’, ২০১৭ সালে সামান্থা এবং বিজয়কে নিয়ে একটি ছবি তৈরি করেছিলেন সেটার বিরুদ্ধেও টুকলির অভিযোগ উঠেছিল।