বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতের সামনে সুপার ফোরের ম্যাচে অবস্থা খারাপ হলো পাকিস্তানের। গতবছর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়োজিত এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই সুপার ফোরের ম্যাচ হেরে ছিটকে যেতে হয়েছিল ভারতকে। এদিন সেই ভারতই ৫০ ওভারের ফরম্যাটে আয়োজিত এই এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে রেখে দিলো।
১০ই সেপ্টেম্বর ব্যাটিং করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার শুভমন গিল (৫৮) এবং রোহিত শর্মা (৫৬), পাক অধিনায়ক বাবর আজমকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে টসে জিতে তার বোলিং দেওয়ার সিদ্ধান্তটা একেবারেই ভুল। দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি করে ১২১ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। তারপর দুজনে আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর বৃষ্টি এসেছিল এবং সেই বৃষ্টি এতটাই মারাত্মকভাবে হয় যে খেলা গড়ার রিজার্ভ ডে-তে।
আর দ্বিতীয় দিনের খেলায় বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুল ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন। প্রাথমিকভাবে নিজেদেরকে সময় দিলেও তারপর হ্যারিস রউফের অনুপস্থিতিতে পার্ট টাইম পাকিস্তান বোলারদের বিরুদ্ধে হাত খুলে আক্রমণ করেন দুজনেই। কোহলি (১২২) ও রাহুল (১১১) দুজনই অসাধারণ শতরান করেন। পাকিস্তানের কাঁধে চাপে ৩৫৭ রানের টার্গেট।
এরপর এই রান তাড়া করতে নেমে প্রথমে বুমরা, তারপর হার্দিক এবং তারপর শার্দূল পাকিস্তান শিবিরে ধাক্কা দেন। পাক অধিনায়ক বাবর আজম মাত্র ১৪ রান করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। দীর্ঘক্ষন ফ্রিজের থেকেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ ওপেনার ফকার জামান (২৭)। এইসবের মাঝেই একবার জাদেজার বলে সুইপ মারতে গিয়ে চোখের নিচে এবং নাকের পাশে মারাত্মক আঘাত পান আঘা সলমান। চোখের তলা থেকে রক্তপাত হতে থাকে। খেলোয়াড়ের উদারতার পরিচয় দিয়ে লোকেশ রাহুল অন্যান্য ভারতীয় ক্রিকেটাররা তার পাশে দাঁড়ান।
কিন্তু পাকিস্তানি ইনিংসের ডানা ছাঁটেন কুলদীপ যাদব। তার বাঁ হাতি লেগস্পিনের ভেলকিতে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে পাকিস্তান। তার বোলিং সামলাতে গিয়ে একে একে উইকেট করে তাকেই উপহার দিয়ে চলে আসেন পাকিস্তানের লোয়ার-মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। ৫ উইকেট নেন ভারতীয় তারকা স্পিনার। ফলস্বরূপ ২২৯ রানের ব্যবধানে জয় পায় ভারত।