বাংলাহান্ট ডেস্ক : এ বছর ইলিশের যোগান বেশ ভালো থাকলেও, ভালো মানের ইলিশের দাম এখনো বেশ চড়া। তার উপর সামনে রান্না পুজো। সবকিছু মিলিয়ে এখন মধ্যবিত্তর নাগালের বাইরে জলের রুপালি শস্য। অনেকেই চিন্তা করছেন যে এ বছর আদৌ অতিথিদের পাতে ইলিশ দেওয়া যাবে কিনা? তবে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রক এই বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়েছে।
শীঘ্রই সেদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেবে। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে, ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই ১০০ টি সংস্থা অনুমোদন চেয়েছে। আধিকারিক বলেছেন, আমরা সিদ্ধান্ত নেব আবেদনকারী সংস্থার রপ্তানি করার সক্ষমতা দেখে। গত বছর ৫০ মেট্রিক টন করে ৪৮ টি সংস্থাকে মোট ২,৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরোও পড়ুন : রেলযাত্রীদের জন্য দুর্দান্ত খবর! বন্দে ভারতে বিরাট বদল, এবার গন্তব্যে পৌঁছতে লাগবে আরও কম সময়
এই আধিকারিক জানিয়েছেন রপ্তানিকারক সংস্থা বেছে নেওয়ার পদ্ধতি সম্বন্ধেও। বাণিজ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, “দুর্গাপুজোয় ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি কতটা পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি করা হবে। যারা আবেদন করেছেন তার মধ্যে থেকে বাছাই করা হবে। এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর।”
আরোও পড়ুন : সর্পগন্ধা নয়! এই উদ্ভিদটি ব্যবহার করলেই দ্রুত নামতে থাকে সাপের বিষ, চেনেন নাকি আপনি ?
কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি করতে অক্ষম হয়েছিল। তাই সঠিক পরিমাণ ইলিশ ওপার বাংলায় পৌঁছায়নি। তাই এবার গুরুত্ব দেওয়া হবে প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। কলকাতা ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোশিয়েশন এখন অপেক্ষায় রয়েছে ওপার বাংলার ইলিশ এপার বাংলায় এসে পৌঁছানোর।
বাংলাদেশ থেকে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই সংস্থাটি চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনারকে। এই আবহে অনেকের মনেই প্রশ্ন, তবে কি বাংলাদেশ থেকে ইলিশ ঢুকলে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বাজারে দাম কমবে ইলিশের? যদিও এই ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেনি কলকাতা ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোশিয়েশন।