বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, G-20 শীর্ষ সম্মেলনে (G20 Summit) গৃহীত সিদ্ধান্তের কারণে, বিদেশে কর্মরত ভারিতীয়রা এখন আগের তুলনায় বেশি অর্থ তাঁদের বাড়িতে অর্থাৎ ভারতে পাঠাতে পারবেন। শীর্ষ সম্মেলনে, দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের (Global Partnership for Financial Inclusion, GPFI) বিষয়ে সম্মতি মিলেছে। এর মধ্যে রয়েছে এক দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা পাঠানোর খরচ কমানোর প্রস্তাবও। মূলত, G20 দেশগুলি ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (DPI) ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি উন্নত করতে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে G20-র নীতিগত সুপারিশের ওপর তৈরি করা রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, DPI যদি সর্বোত্তম উপায়ে পরিচালিত হয়, তাহলে সেটি লেনদেনের খরচ কমাতে, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে ও প্রতিযোগিতা এবং ইন্টারঅপারেবিলিটি সহ গ্রাহকের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে।
রেমিট্যান্স খরচ কমবে: GPFI-এর খসড়া অনুযায়ী, ২০২১ সালে এক দেশ থেকে অন্য দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর বিশ্বব্যাপী গড় খরচ ছিল ৬.২১ শতাংশ। যা কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে নিয়ে আসা হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। G20-র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স খরচ কমাতে নিম্ন আয়যুক্ত দেশগুলিতে রেমিট্যান্স সুবিধা সম্প্রসারিত করা হবে। উল্লেখ্য যে, বিশ্বের রেমিট্যান্সের ৫০ শতাংশ আসে G20 অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি থেকে।
আরও পড়ুন: IAS অফিসার হতে চান? এই চারটি ধাপ সফলভাবে পেরোলেই পূরণ হবে স্বপ্ন
ভারতে অর্থ পাঠানোর পরিমাণ বৃদ্ধি: এই প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাঙ্কের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যান্য দেশ থেকে ভারতে পাঠানো অর্থের পরিমাণ, যাকে রেমিট্যান্স ফ্লো বলা হয়, তা ১২ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। শুধু তাই নয়, এই পরিমাণ ১৭৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়। ইউরোপ ও উপসাগরীয় দেশগুলিতে ভালো চাকরির সুযোগ থাকায় এমনটা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার বিপুল সংখ্যক মানুষ সেখানে কাজ করতে যান এবং তাঁদের পরিবারকে টাকা পাঠান।
আরও পড়ুন: iPhone 15 লঞ্চের আগেই বড় ডিসকাউন্ট! লাফিয়ে দাম কমল 13 ও 14 মডেলে, মিলছে মাত্র এত টাকায়
২০২২ সালে, অন্যান্য দেশ থেকে ভারতে পাঠানো অর্থের পরিমাণ ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটি সেই সমস্ত দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল যেখানে অন্যান্য দেশে অর্থ উপার্জন করে কর্মীরা তাঁদের পরিবারে অর্থ পাঠান। মেক্সিকো, চিন, ফিলিপিন্স এবং পাকিস্তানের বাসিন্দারাও প্রচুর অর্থ পাঠিয়েছিলেন। তবে তা ভারতের মতো এত বেশি নয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ভারতে রেমিট্যান্সের একটি বড় অংশ (প্রায় ৩৬ শতাংশ) প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে এসেছে। যাঁদের উচ্চ দক্ষতা রয়েছে এবং তাঁরা উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন ক্ষেত্রে চাকরি করেন।