বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস (Leaps and Bounds) ফাইল কাণ্ডে নয়া মোড়! ইডি তলবের পরই রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন করেছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এবার রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি (Enforcement Directorates)।
প্রসঙ্গত বিগত কিছুদিন ধরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস, এই নাম নিয়ে তোলপাড়। সম্প্রতি রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সূত্র ধরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে টানা তল্লাশি চালায় ইডি। সেই সময় অফিসে উপস্থিত ছিলেন ওই সংস্থারই এক কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতভর তল্লাশি চালানোর পর প্রচুর নথি, ১টি হার্ড ডিস্ক ও ১টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে চলে যান ইডি (ED) আধিকারিকরা। পরে, এই চন্দনই ইডি-র গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে সংস্থার একটি কম্পিউটারে ১৬টি অচেনা ফাইল ডাউনলোডের অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata police) কাছে।
এফআইআর দায়ের করে ঘটনার তদন্তে নামে লালবাজার থানার পুলিশ। এই নিয়েই ইডির অভিযোগ ওই ফাইল ডাউনলোডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের তদন্তকারী অফিসারদের হেনস্থা করছে রাজ্য পুলিশ। লাগাতার ফোন করে ইমেল পাঠিয়ে তথ্য চাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ED-র জিজ্ঞাসাবাদের পরই অভিষেকের মুখে পার্থর নাম! বিপদ আরও বাড়লো প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর?
তাই এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী অফিসারদের রক্ষাকবচের আবেদন করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ইডির আইনজীবী। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি বর্তমানে বিচারপতি সিনহার এজলাসজানিয়েছে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকে ডাউনলোড করা বিতর্কিত ফাইল মামলায় ইতিমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আদালতের নির্দেশ ওই ১৬টি ফাইলকে অভিষেক বা কোম্পানির বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। সেই নির্দেশ ইডি মেনে চলছে।
আরও পড়ুন: ঠিক কবে গ্রেফতার হবেন শুভেন্দু? এবার দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেন অভিষেক
তবে তারপরও ওই ফাইল কাণ্ডে লালবাজারে দায়ের হওয়া একটি জেনারেল ডাইরির ভিত্তিতে তদন্ত করেছে পুলিশ। ইডির আশঙ্কা এই তদন্ত করতে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে পুলিশ। এমনকি অফিসারদের পুলিশি হেফাজতেও চাওয়া হতে পারে। তাই আগেভাগেই বিচারপতি অমৃতা সিনহার দ্বারস্থ ইডি। মামলাটি দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি।