বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের সকল বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এত দিন এ রাজ্যের বিধায়কেরা মাসিক ১০০০০ টাকা করে বেতন হিসেবে পেতেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একধাক্কায় ৪০০০০ টাকা বাড়িয়ে বঙ্গ বিধায়কদের মাসিক ৫০০০০ করে বেতন ঘোষণা করেন।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানিয়ে দেন, এই বর্ধিত বেতন বিজেপি বিধায়কেরা গ্রহণ করবেন না। তবে এরপরই খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় এই বর্ধিত বেতন না নেওয়ার কোনও উপায় বিধায়কদের নেই।
কারণ ইচ্ছে থাকলেও এই বেতন না নেওয়ার কোনও আইন বা নিয়ম বিধানসভায় নেই। তাই হাজার চেষ্টা করলেও অনিচ্ছা নিয়েই এই বেতন গেরুয়া বিধায়কদের নিতে হবে। বিজেপির পরিষদীয় দল খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছে এই বেতন না নেওয়ার কোনও উপায় তাদের কাছে নেই। বিধানসভার সচিবালয় থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় বর্ধিত বেতন না নেওয়া বা ফিরিয়ে দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই।
আরও পড়ুন: অভিষেক বাদে আর কার কার সম্পত্তির খতিয়ান চেয়েছেন বিচারপতি? সামনে এল আসল তথ্য
প্রসঙ্গত গত ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিধায়করা সব থেকে কম বেতন পায়। এতদিন তারা মাসে ১০ হাজার টাকা করে বেতন পেতেন। এবার ৪০ হাজার টাকা বাড়ল। ফলে এখন থেকে তারা ৫০ হাজার পাবেন”।
আরও পড়ুন: ৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া! আজ উত্তাল সমুদ্র, দক্ষিণবঙ্গের এই সব জেলায় তুমুল বৃষ্টির সতর্কতা
এর আগে রাষ্ট্রমন্ত্রীরা মোট বেতন ভাতা-সহ ১ লক্ষ ৯ হাজার ৯০০ টাকা পেতেন। এবার থেকে পাবেন ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা। পূর্ণমন্ত্রীদের মোট বেতন ভাতা-সহ ছিল ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী তা বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করেন। আর বিধায়কদের মোট বেতন ভাতা-সহ
ছিল ৮১ হাজার টাকা যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা।
পুজোর মাস মানে অক্টোবর মাস থেকেই বৃদ্ধি হওয়া বেতন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাবেন রাজ্য বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যেরা। মুখ্যমন্ত্রী যখন বেতন বৃদ্ধি ঘোষণা করেছিলেন তখন তার বিরোধিতা করে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষত্যাগ করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু সহ বিজেপি বিধায়কেরা। তবে প্রতিবাদ জানিয়েও লাভের লাভ কিছু হল না।