বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নাসার গুরুত্ব অপরিসীম। বহুদিন ধরে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বহির্বিশ্বের একাধিক তথ্য সামনে এনেছে মার্কিন এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নাসার পক্ষ থেকে একটি অপূর্ব সুন্দর গ্রহের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। এই ছবিটিতে বাদামি ও নীল রঙের দেখাচ্ছে আমাদের বুধ গ্রহকে।
নাসার পক্ষ থেকে একটি মহাকাশ যান বুধের কাছাকাছি পাঠানো হয়। এই মহাকাশযানটি নাসার কাছে বুধের এই অপূর্ব সুন্দর ছবিটি পাঠিয়েছে। যেহেতু সূর্যের খুব কাছে বুধ গ্রহের অবস্থান, সেহেতু সেখানে মহাকাশযান পাঠানো খুবই কঠিন কাজ। এছাড়াও সূর্যের খুব কাছে থাকায় এই গ্রহের পরিক্রমণ গতি অনেকটাই বেশি।
অপরদিকে উত্তাপ জনিত সমস্যা রয়েছে এই গ্রহে। যেখানে ৩৬৫ দিনে পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে, সেখানে মাত্র ৮৮ দিনে গোটা সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে ফেলে বুধ। এর থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায় যে বুধ গ্রহের গতি অনেকটাই বেশি অন্যান্য গ্রহদের থেকে। এই গতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বুধ গ্রহের কক্ষপথে স্যাটেলাইট প্রবেশ করানো বেশ কঠিন কাজ।
আরোও পড়ুন : ভারতের নাম উজ্জ্বল করল এই দুটি স্কুল! নাম লেখাল বিশ্বের সেরা তিন স্কুলের তালিকায়
কিন্তু নাসা এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে। যে স্যাটেলাইটটি পাঠানো হয়েছে সেখান থেকে আসছে একাধিক বুধ গ্রহের ছবি ও তথ্য। ছবি পোস্ট করার সাথে সাথে নাসা এই গ্রহ সম্পর্কে লিখেছে, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, পটাসিয়াম ও সোডিয়াম দিয়ে তৈরি বুধ গ্রহের বায়ুমণ্ডল খুবই পাতলা। এইজন্য বুধ গ্রহের দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
আরোও পড়ুন : বয়কট হবে গোদি মিডিয়া! তালিকা তৈরী করে এবার সরব ‘ইন্ডিয়া’ জোট
অন্যদিকে, বুধের (Mercury) চৌম্বক ক্ষেত্র পৃথিবীর চুম্বক ক্ষেত্রের থেকে অনেক বেশি দুর্বল বলে জানতে পেরেছে তারা। মেসেঞ্জার (messenger) মিশনের মাধ্যমে প্রথমবারের জন্য বুধের কক্ষপথে প্রবেশ করে কোনও স্যাটেলাইট। ৩ অগষ্ট ২০০৪ সালে প্রেরণ করা এই স্যাটেলাইট বুধের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল ১১ মার্চ, ২০১১।
এরপর সেটি বুধকে প্রদক্ষিণ করে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। বুধ গ্রহের এই ছবিটি নাসা messenger মিশন এর মাধ্যমে তুলেছিল। বুধের বায়ুমণ্ডল, পরিবেশ, ভূতত্ত্ব, চৌম্বক ক্ষেত্র রাসায়নিক গঠন ইত্যাদি ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য নাসা এই স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে বুধের কক্ষপথে। তবে, নাসার এই ছবিটি সামনে আসার পর থেকেই রীতিমতো মুগ্ধ চোখে দেখছে গোটা নেটদুনিয়া।