বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ (2023 Asia Cup) থেকে বিদায় ঘটে গিয়েছে পাকিস্তানের। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। নিজেদের প্রধান দুই বোলারকে না পাওয়া সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল বাবর আজমের (Babar Azam) দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই লড়াই যথেষ্ট ছিল না ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য।
পাকিস্তানের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা এশিয়া কাপে তাদের শোচনীয় পারফরম্যান্সের একটা বড় কারণ। গোটা টুর্নামেন্টে নেপাল বাদ দিলে বাকি দলগুলোর বিরুদ্ধে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলের তারকারা নিজেদের সুনাম বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নামটা হল বাবর আজমের।
শুধু এবারের এশিয়া কাপেই নয়। গত এশিয়া কাপ গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সহ বড় টুর্নামেন্টগুলিতে নিজের সুনাম বজায় রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি অর্থশতরান এবং নেপালের বিরুদ্ধে একটি বিরাট বড় শতরানের ইনিংস ছাড়া তার আর বলার মতো উল্লেখযোগ্য কোনও পারফরম্যান্স নেই। ফলে বিরাট কোহলির সঙ্গে তার তুলনা টানার বিষয়টি নিয়ে এখন ভারতীয় সমর্থকরা চূড়ান্ত ব্যঙ্গ করছেন।
চলতি এশিয়া কাপে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৭, ভারতের বিরুদ্ধে ১৯ এবং গতকাল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৯ রানের একটা ইনিংস খেলেছেন। এর থেকেই বোঝা যায় যে বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে এরকম গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সেই সঙ্গে তিনি গতকাল একটি লজ্জার রেকর্ড নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে খারাপ খবর পেলো BCCI! চোটের কারণে ৩ মাসের জন্য মাঠের বাইরে তারকা ওপেনার
এশিয়ার ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এক ক্যালেন্ডার বর্ষে ৪ বার স্টাম্পড হওয়ার লজ্জার রেকর্ড করলেন। এর আগে ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে তিনি তিনবার স্টাম্পড হয়েছিলেন। তার আগে এশিয়ার ক্রিকেটারদের মধ্যে এক বছরে চারবার স্টাম্পড হওয়ার লজ্জার রেকর্ড রয়েছে সচিন টেন্ডুলকারের নামের পাশে। ১৯৯৬ সালে মাস্টার ব্লাস্টারের সাথে ঘটেছিল এমন ঘটনা। এশিয়ার ব্যাটারদের স্পিনের বিরুদ্ধে তুলনামূলক কম সমস্যা হয়। তাই বাবর এবং শচীন দুজনের জন্যই এই রেকর্ডটা একেবারেই অভিপ্রেত নয়।