বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাঙালির ঘরে ঘরে চলছে রান্নাপুজোর প্রস্তুতি। রবিবার রাত জেগে হবে রান্না। সেটাই পরদিন খাওয়া হবে, এই রীতি মেনেই এই পুজো হয়ে থাকে। আর এই পুজোরই এক বিশেষ উপকরণ ইলিশ মাছ। রান্নাপুজো ইলিশ মাছ (Hilsa Fish) ছাড়া ভাবাই যায় না। কিন্তু এবছর রান্নাপুজোয় ইলিশ মাছের আকাল। রবির সকালেও বাজারে তেমন দেখা নেই ইলিশ মাছের। আর যাও রয়েছে, তা মধ্যবিত্ত বাঙালির হাতের নাগালের বাইরে।
শনিবার দুর্যোগের কারণে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। যেই কারণে ইলিশ শিকার না করেই ফিরতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের (Fisherman)। আর সেই কারণেই ইলিশ মাছের আকাল গোটা রাজ্যজুড়ে (West Bengal)। ঘাটে ঘাটে যে ট্রলার ফিরেছে সেগুলির বেশিরভাগই ইলিশ শূন্য। যার ফলে ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া। চড়া দামের পাঁকে পড়ে নমো নমো করেই নিয়ম রক্ষার জন্য অল্প করেই মাছ কিনতে হচ্ছে আমজনতাকে।
এই নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘দুর্যোগের কারণে সমুদ্র এখন উত্তাল। দুর্ঘটনা এড়াতে সরকারি নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার রাতেই ইলিশ শূন্য ট্রলারগুলি নিয়ে ফিরেছেন মৎস্যজীবীরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবছরের মতো এ বছরও রান্নাপুজোয় টাটকা ইলিশের ব্যাপক চাহিদা ছিল। কিন্তু প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনার জন্য মৎস্যজীবীরা সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন, যার ফলে ইলিশের জোগান এ বছর একেবারেই নেই। যার জেরে তাদের মাথায় হাত পড়েছে। প্রচুর আর্থিক ক্ষতির (Loss) মুখোমুখি হয়েছেন ক্ষুদ্র ও পাইকারী মাছ বিক্রেতারা।
এদিকে টাটকা ইলিশ না পেয়ে হিমঘরে থাকা মাছ নিয়েই নিয়মরক্ষা করতে হচ্ছে আমজনতাকে। তাও সেই মাছের দামও চড়া। ছোট ইলিশের দামও ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি। এক কেজি ওজনের ইলিশের দর দাঁড়িয়েছে ১৫০০-২০০০ টাকা। যার জেরে পকেটে ব্যাপক টান আম-বাঙালির। ফলে নিয়মরক্ষা করতে অল্প করেই ইলিশ মাছ কিনছেন তারা।