বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে হাজার হাজার মন্দির (Temple)। তবে, সেইসব মন্দিরের মধ্যে এমন কিছু মন্দিরও রয়েছে যেগুলি ভক্তদের কাছে কিছু বিশেষ কারণে আলাদা স্থান দখল করে থাকে। এমনকি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই বিষয়গুলি এতটাই অনন্য হয় যে তা রীতিমতো অবাক করে দেয় প্রত্যেককেই। মন্দিরে দেবতার কাছে মনস্কামনা পূরণের আর্জি জানাতে আমরা তো প্রত্যেকেই যাই। কিন্তু ভারতে এমন একটি মন্দির রয়েছে যেখানে ভক্তরা ভিসা (Visa) পেতে যান।
প্রথমে বিষয়টি জেনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই কারণে মন্দিরটিকে বিদেশে যাওয়ার টিকিট হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। পাশাপাশি, বিশ্বাস করা হয় যে, ঈশ্বর সেখানে আশীর্বাদ হিসেবে ভিসা দেন। আর এই কারণেই হায়দ্রাবাদের চিলকুর বালাজির মন্দির (Chilkur Balaji Temple) সবসময় থাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এই মন্দিরটি ভিসা মন্দির নামেও পরিচিত। কারণ, ভিসা পাওয়ার ইচ্ছায় বহু মানুষ ওই মন্দিরে যান। মূলত, যাঁদের ভিসা পেতে সমস্যা হয় তাঁরা ভিড় করেন ওই মন্দিরে। সেখানে বেশিরভাগ মানুষ আমেরিকা যাওয়ার ভিসা পাওয়ার লক্ষ্যেই যান। যদিও, অন্যান্য দেশের ভিসা পাওয়ার আশাতেও ভক্তরা পৌঁছে যান সেখানে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ হবে সুরক্ষিত! এই ফর্মুলা মেনে বিনিয়োগ করলেই ১২ বছর পর অ্যাকাউন্টে আসবে ১ কোটি
ভক্তরা ভিসা পাওয়ার জন্য মন্দিরে আসেন: মনে করা হয় এই মন্দিরটি ৫০০ বছরের পুরোনো। এমতাবস্থায়, যাঁরা এই মন্দিরে যান তাঁরা ভগবানকে ১১ বার প্রদক্ষিণ করেন। প্রদক্ষিণের সময়ই তাঁরা ভগবানের কাছে তাঁদের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। এরপরে, ভক্তরা পুজোর সময় তাঁদের পাসপোর্টও ভগবানের সামনে রাখেন। এদিকে, তাঁদের ইচ্ছেপূরণ হলে ভক্তদের মন্দিরে ফিরে আসতে হয় এবং ১০৮ বার মন্দিরটি প্রদক্ষিণ করতে হয়। আর এভাবেই ভক্তরা ভগবান বালজির আশীর্বাদ লাভ করেন। এই কারণে মন্দিরটি ভিসা বালাজি মন্দির নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন: ভুলে যান চাকরির চিন্তা, এবার বাড়িতে বসেই রোজগারের সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে SBI! এভাবে করুন আবেদন
এইভাবে শুরু হয়েছিল এই প্রথা: তবে, এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে কিভাবে এই প্রথার শুরু হয়েছিল? এই প্রসঙ্গে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কয়েক বছর আগে একদল কলেজ পড়ুয়া আমেরিকা যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভিসা পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হন তাঁরা। তারপর এই মন্দিরে এসে প্রার্থনা করেন পড়ুয়ারা। এদিকে, ঈশ্বরের কাছে আর্জি জানানোর পরেই তাঁরা ভিসা পেয়ে যান। এরপর থেকে এই খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ভক্তরা ভিসা পাওয়ার আশায় মন্দিরে আসতে থাকেন।