‘বিধবা ভেবেছিল একাদশীতে খাবার খাবে’, মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবনে প্রথমবারের জন্য অধিবেশন বসেছে। পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে গণেশ চতুর্থীর দিন নতুন সংসদ ভবনে পদার্পণ করেছেন সাংসদেরা। আর এই নতুন সংসদ ভবনে প্রথমেই যে বিল পাশ হল তা ‘মহিলা সংরক্ষণ বিল’ (Women Reservation Bill)। বিরোধীরাও এই বিলকে সমর্থন করেছে। যদিও এই বিল অনেক আগের বলেই মন্তব্য করেছে কংগ্রেস (Congress)।

এদিকে মঙ্গলবার একেবার সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরে ‘বাঙালিবাবু’ হয়ে নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন কংগ্রেসের দাবি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। সুকান্তবাবু বলেন, ‘এদেশে অনেক কিছুই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সবার সৌভাগ্য হয়নি এই কাজগুলি করার। ভগবান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) তথা এই সরকারকে চয়ন করেছে এই কাজগুলি করার জন্য। গোটা ভারতবর্ষ এই ঐতিহাসিক পটভূমিগুলি মনে রাখবে।’

তৃণমূল (TMC) আবার দাবি করছে, এই বিল আগের। এখন বিজেপি (BJP) কেবল কৃতিত্ব নিতেই এসব করছে। এই প্রসঙ্গে সংসদ চত্বরের বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকেও কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তিনি বলেন, ‘জমালয়ে জীবন্ত মানুষে এক বিধবা ভেবেছিল একাদশীর দিন খাবার খাবে, তাই পাপ হয়েছিল। তৃণমূল অনেক কিছুই ভাবে, করে কিছুই না।’

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ৩৩ শতাংশ মহিলা সাংসদ বলে দাবি তৃণমূলের। তৃণমূল যা করে ভারত তা পরে অনুসরণ করে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই নিয়ে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘২০১৪ সালে ছিল, এখন নেই কেন? একটা দলের ভিতরে নিয়ম। আর একটা আইন। দুটো আলাদা। যেমন এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেনে (Spain) গিয়ে পিয়ানো বাজাচ্ছেন, এরপর জার্মানিতে গিয়ে বাজাবেন। আর সারা বছর বাংলার মানুষকে বাজাবেন।’

sukanta

উল্লেখ্য, নয়া সংসদ ভবনে প্রথমেই মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই বিলটি পেশ করলেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। এই বিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নারী শক্তি বন্দন’। এই বিল অনুযায়ী, লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। এদিকে তপশিলি জাতি বা উপজাতিদের জন্য বরাদ্দ আসনের মধ্যেও এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত থাকবে মহিলাদের জন্য।

Monojit

সম্পর্কিত খবর