এক টিকিটেই মিলল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা! সকালের কাটা লটারিতে বিকেলেই কোটিপতি হলেন নাপিত

বাংলাহান্ট ডেস্ক : লটারির টিকিট কেটে ভাগ্য বদল হয়েছে বহু মানুষের। সামান্য দিনমজুর লটারির টিকিট কেটে হয়ে গেছেন কোটিপতি। এবার সেরকমই একটি ঘটনা সামনে এল। বেড়ার ছাউনি দেওয়া ছোট্ট সেলুন। দিন চলে লোকের চুল-দাড়ি কেটে। প্রতিদিনের সামান্য রোজগার থেকে কিছু টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কাটতেন রবিউল শেখ।

স্বপ্ন দেখতেন লটারির টিকিট জেতার। সেই নাপিতের ভাগ্যই বদল করে দিল তার কাটা লটারি টিকিট। সকালের কাটা লটারির টিকিটের ফল বিকেলে প্রকাশ হতেই রাতারাতি জীবন ঘুরে গেল রবিউলের। পেশায় নাপিত রবিউল শেখ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের পার রঘুনাথপুর মালিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

আরোও পড়ুন : মন্ত্রী কন্যার পর চাকরি গেল ববিতারও! ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার’ হাতে পেলেন অনামিকা

এই গ্রামেই রয়েছে তার ছোট্ট একটি সেলুন। তাতেই চলত চুল-দাড়ি কাটার কাজ। গ্রামের কিছু বাসিন্দা তার কাছে আসতেন চুল-দাড়ি কাটতে। রবিউল বলছেন, ভাগ্য ফেরানোর আশা নিয়ে গত তিন বছর ধরে তিনি লটারির টিকিট কাটছেন। যা সামান্য রোজগার হয় তা থেকেই টাকা বাঁচিয়ে কাটতেন লটারির টিকিট। লটারি কাটা তার কাছে নেশা হয়ে গিয়েছিল।

আরোও পড়ুন : অচিরেও বদলে গেল ছোটদের টিকিটের নিয়ম, ব্যাপক লক্ষ্মীলাভ রেলেরও! ফাঁস RTI-তে

রবিউল গ্রামের একটি লটারির দোকান থেকে গত ১৭ তারিখ একটি লটারি টিকিট কাটেন। এরপর রাতে তিনি জানতে পারেন যে ওই টিকিটে তিনি কোটি টাকা পুরস্কার জিতেছেন। প্রথমে বিশ্বাস হয়নি রবিউলের। বারবার মিলিয়ে দেখতে থাকেন লটারির নম্বর। এরপর যখন নিশ্চিত হন যে তিনি লটারিতে টাকা জিতেছেন, তখন তিনি গিয়ে হাজির হন স্থানীয় থানায়।

img 20230920 193909

রবিউল শেখের গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, খুব কষ্ট করে সংসার চালান রবিউল। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার। সেলুনের সামান্য উপার্জন দিয়েই সংসার চলে। সেলুনের আয় থেকেই চলে সন্তানদের পড়াশোনা। তবে রবিউলের লটারি কাটার নেশার জন্য মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। এবার সেই লটারি টিকিটই ভাগ্য পরিবর্তন করে দিল গোটা পরিবারের।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর