বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে (Social Media) রঙ্গমঞ্চের সাথে তুলনা করলেও খুব একটা অত্যুক্তি হয়না। নেটমাধ্যম খুললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নানা ধরণের সব কাণ্ড কারখানা। আর ইনস্টাগ্রাম রিলস আসার পর থেকে তো এই রমরমা আরও বেড়েছে। এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সমস্ত খুঁটিনাটিই খুঁজে পাওয়া যায় এই সামাজিক মাধ্যমে।
এসবের পাশাপাশি ভাইরাল ভিডিও (Viral Video) তো রয়েইছে। প্রায়শই কিছু না কিছু ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আসলে মাঝে মাঝে এমনসব জিনিসপত্র চোখের সামনে ভেসে ওঠে যা দেখে মানুষ সেটা শেয়ার না করে থাকতে পারেনা। এই যেমন সম্প্রতি একটি ভিডিও ব্যাপকহারে ছড়াচ্ছে নেটিজনদের মধ্যে। যা দেখার পর মানুষ হাসবে নাকি কাঁদবে সেটাই ঠিক করতে পারছেনা।
সম্প্রতি এক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন ড্রাইভার একটি গাড়ি চালাচ্ছেন। তার পাশেই বসে আছে আরেকজন। তবে ভিডিওর আসল আকর্ষণ হল ড্রাইভারের পাশে থাকা উইন্ডোর উল্টো দিকের মানুষটি। এখন ভাবছেন যে, গাড়ি যদি চলছে তাহলে দরজার বাইরে কেউ কীভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে? অবাক লাগলেও সেটাই ঘটে গেছে এখানে।
আরও পড়ুন : ময়ূরী নয়, আবারও বিয়ের পিঁড়িতে মেঘ! ‘ইচ্ছে পুতুল’এ আসছে ধামাকাদার টুইস্ট
ভিডিওটি ঠিক কোন জায়গার সেটা জানা সম্ভব হয়নি। তবে ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ‘রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে না হয় একটু তোলাবাজি করে। তাই বলে এমন শাস্তি।’ আসলে চলন্ত গাড়ির জানালা ধরে যে লোকটি ঝুলে রয়েছেন তিনি সম্ভবত সিভিক পুলিশ (Civic Police)। ভিডিওতে থাকা মানুষজনদের কথপোকথন শুনে যা বোঝা যাচ্ছে তার সারমর্ম এই, খুব সম্ভবত এই সিভিক পুলিশটি গাড়ির ড্রাইভারের কাছে টাকা চেয়েছিল। যে কারণে তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ঐভাবে জানলার পাশে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে সুচিত্রাকে দেখতে চেয়েছিলেন উত্তম! কারণ জানলে চোখে জল আসবেই
এইভাবে অনেকটা রাস্তা নিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে গাড়ি থামায় ড্রাইভারটি। গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞেস করে, গাড়ির চাবিতে হাত দেওয়ার অধিকার কি তার আছে? অবস্থা খারাপ দেখে সিভিক পুলিশটি হাতজোড় করে ক্ষমাও চেয়ে নেয়। এমনকি প্রাণভয়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথাও সে বলে। যদিও সেই সিভিক পুলিশ ঠিক কী কারণে টাকা চেয়েছিল তা এই ভিডিও থেকে পরিস্কার নয়। তবে কারণ নৈতিক বা অনৈতিক যাই হোক না কেন, কারও প্রাণ নিয়ে খেলাটা কি ঠিক? প্রশ্ন তুলেছে নেটিজনদের একাংশ।
সম্প্রতি এই ভিডিওটি সামনে আসতেই ঝড়ের গতিবেগে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজনদের অনেকেই বিষয়টি দেখে মজা নিয়েছে ঠিকই তবে এটা যে আইনত অপরাধ সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছে কেউ কেউ। কমেন্ট বক্সে এক ইউজার লিখেছেন, ‘হতেই পারে উনি কোনো সঙ্গত কারণে চালান কাটছিলেন। তাই বলে কারও প্রাণ নিয়ে ছেলে খেলা করা যায় নাকি?’ আবার একজন লিখেছেন, ‘যা হয়েছে বেশ হয়েছে।’ তবে ভিডিওটি প্র্যাঙ্কও হতে পারেনি। বাংলাহান্টের তরফ থেকে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।