বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি বছরে পুজোর আর বেশি বাকি নেই। তবে, ঠিক এই আবহেই নতুন করে একটি বিষয়কে ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, পুজোর আগেই PPF (Public Provident Fund) নিয়ে আদৌ কোনো সুসংবাদ সঞ্চয়কারীরা পাবেন কি না এই বিষয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, PPF-এর ক্ষেত্রে ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে আর সুদের হারে পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ, প্রায় সাড়ে তিন বছর ইতিমধ্যেই কেটে গেছে। যদিও, এবার বর্তমান অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিক শুরুর আগেই এই বিষয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমানে PPF-এ প্রাপ্ত সুদের পরিমাণ হল ৭.১ শতাংশ। পাশাপাশি, সরকারের তরফে প্রতি ত্রৈমাসিকে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে অর্থাৎ স্মল সেভিংসে সুদের হার জানিয়ে দেওয়া হয়। এমতাবস্থায়, বেশ কয়েক বছর অতিক্রম করে গেলেও পুজোর আগেই এবার PPF নিয়ে সঞ্চয়কারীরা আদৌ ভালো কোনো খবর পান কি না সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।
আরও পড়ুন: চেয়ে দেখবে গোটা বিশ্ব! ২০২৪-এর মধ্যেই টাটার হাত ধরে প্রথম “মেড ইন ইন্ডিয়া” চিপ আনছে ভারত
তবে, কেন্দ্রের তরফে PPF-এ সুদের হার বাড়ানো হবে কি না এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই এসএজি ইনফোটেকের প্রধান অমিত গুপ্তার বলেছেন, আগামী ৩ মাস অর্থাৎ চতুর্থ ত্রৈমাসিকেও কেন্দ্র PPF-এ সুদের হার ৭.১ শতাংশতেই রেখে দিতে পারে। অর্থাৎ, সামগ্রিকভাবে এই বছর আর PPF-এর সুদের হারে বদল হওয়ার কোনো আশা নেই বলেই মনে করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: এবার আর্থিক বিষয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্কের ভর্ৎসনার সম্মুখীন পাকিস্তান! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, প্রতিটি ত্রৈমাসিকে যে সুদের হার থাকে তা নির্দিষ্ট ভাবে হিসেব করে বছরের শেষে বিনিয়াগকারীদেরকে প্রদান করা হয়। এদিকে, প্রতিমাসের পঞ্চম দিন থেকে শেষ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন যে টাকা থাকে তার উপর ভর করেই সুদের হার হিসেব করা হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, মাসের পাঁচ তারিখের আগেই এমন একটা টাকা PPF-এ জমা দেওয়া উচিত যাতে তার সুদ সমগ্ৰ মাসের জন্য আপনি পেতে পারেন।