বাংলাহান্ট ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে খারাপ রাস্তার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময় অভিযোগ ওঠে বছর ঘোরার আগেই উঠে যাচ্ছে নতুন রাস্তার পিচ। নতুন রাস্তা তৈরি হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্ত। তাই কিছুদিন যেতে না যেতেই নতুন করে তৈরি করতে হয় রাস্তা। এই সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর নতুন চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে।
পঞ্চায়েত দফতর বলছে নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে রাস্তা তৈরি করলে তার আয়ু অনেক দীর্ঘস্থায়ী হবে। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের দাবি ফুল ডেপথ রিক্ল্যামেশন পদ্ধতিতে (এফডিআর) রাস্তা তৈরি করলে সেটি সাত থেকে দশ বছর পর্যন্ত টেকসই হবে। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে এই সংক্রান্ত নথি ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র মিললেই এই পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হবে।
আরোও পড়ুন : গুজরাটে ফের ব্রিজ বিপর্যয়, হুরমুরিয়ে সেতু ভেঙে পড়ায় ভেসে গেলেন ১০ জন! ফিরল মোরাবির স্মৃতি
গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয় গত শুক্রবার। এই কর্মশালায় রাজ্যের পক্ষ থেকে এফডিআর পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে ২২ টি গ্রামে ২৭০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হবে এফডিআর পদ্ধতিতে। এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাস্তা তৈরি করলে তার আয়ু অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
আরোও পড়ুন : গেটেই থাকছে বড়সড় চমক! হাওড়া মেট্রো স্টেশনের রূপ দেখলে ‘থ’ হয়ে যাবেন
রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানথন সহ অন্যান্য পদস্থ কর্তা ও ইঞ্জিনিয়াররা ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রের এই কর্মশালায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাজ্যের প্রতিনিধিসহ মোট ২৫০ জন এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মশালায় রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব ব্যাখ্যা করেন এফডিআর পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরি করলে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে।
সচিবের কথায়, এই পদ্ধতিতে প্রচলিত উপাদানের সাথে সিমেন্ট ও জল মেশানো হয়। এরপর সেই উপাদানকে মিশ্রিত করা হয় গ্রেডারে। গ্রামীণ রাস্তায় দেখা যায় অনেক সময় দুধারের মাটির বাঁধন খুব একটা শক্ত হয়না। এরফলে সেখান থেকে রাস্তায় তৈরি হয় ফাটল। FDR পদ্ধতিতে রাস্তা নির্মাণ করলে অনেকটাই কমে যাবে সেই ফাটল তৈরির সম্ভাবনা।