হাঁটুর বয়সী ছাত্রকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দুই সন্তানের মা! এই শিক্ষিকার কাণ্ডে শোরগোল

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় আছে গুরু ব্রহ্মা, গুরু বিষ্ণু। আমাদের দেশে গুরু বা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঈশ্বরের চোখে দেখা হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকারাই একটি শিশুর মনে শিক্ষার আলো প্রবেশ করান। শিক্ষকের মাধ্যমেই আলোকিত হয় শিক্ষার্থীর মন। পিতা-মাতা ছাড়া একটি সন্তানের যেমন পৃথিবীর আলো দেখা সম্ভব নয়, ঠিক তেমনই সঠিক গুরু ছাড়া জীবনের আলোর ছোঁয়া পাওয়া সম্ভব নয়।

কিন্তু এমন অনেক ঘটনা খবরের শিরোনামে উঠে আসে যা আমাদের মনে আশঙ্কার বীজ বপন করে। অনেক সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে পড়ুয়ার লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা শুনতে পাই আমরা। কিন্তু সম্প্রতি এমন একটি আশ্চর্যজনক ঘটনার কথা উঠে এসেছে যা জেনে অনেকেই স্তম্ভিত। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত সামোয়া দ্বীপের বাসিন্দা ছিলেন ভিজি ফুয়ালাউ।

আরোও পড়ুন : মুকেশের মতোই বেতন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত আকাশ, অনন্ত ও ঈশার! পাবেন শুধু এই পারিশ্রমিকটুকু

তিনি যখন ১২ বছরের ছিলেন তখন তিনি তার শিক্ষিকাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন। এই শারীরিক হেনস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে এবং পরবর্তীকালে তারা বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন। একটা সময় এই দম্পতির দুই সন্তানও জন্ম নেয়। মেরি নামের এই শিক্ষিকা পড়াতেন ওয়াশিংটন রাজ্যের একটি স্কুলে।

আরোও পড়ুন : চলতে চলতে লাইন ছেড়ে প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়ল ট্রেন! ফের বড়সড় রেল দুর্ঘটনা, ভাইরাল ভিডিও

ভিজি ফুয়েলাউ আট বছর বয়সে ওই স্কুলে ভর্তি হন। তারপর থেকেই বাড়তে থাকে শিক্ষিকা ও ছাত্রের ঘনিষ্ঠতা। যখন ভিজির প্রথম মেরির সাথে সম্পর্ক হয় তখন মেরির বয়স ছিল ৩৪ বছর। এই বিষয়টি জানাজানি হলে জেলে যেতে হয় মেরিকে। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর একসাথে জীবন শুরু করেন মেরি ও ভিজি। এরপর মেরি জন্ম দেন দুই সন্তানের।

img 20230927 151856

২০০৫ সালে বিয়ে করেন এই দুজন। ১৪ বছর একসাথে থাকার পর ডিভোর্স হয় এই দুজনের মধ্যে। ২০২০ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন মেরি। মেরির মৃত্যুর পর ভিজি বলেছিলেন, আমি প্রথম চুম্বন করেছিলাম মেরিকে। আমরা দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসতাম। বর্তমানে এই দম্পতির দুই সন্তান মানুষ হচ্ছে ভিজির কাছে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর