বাংলাহান্ট ডেস্ক : আচার্য চাণক্যকে (Chanakya) ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমান ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। নীতি শাস্ত্রের বইতে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে একাধিক শ্লোক রচনা করে গেছেন। পাপ-পুণ্য, কর্তব্য ও অধর্মের কথা উল্লেখিত রয়েছে চাণক্য নীতি শাস্ত্রে। চাণক্য নীতি অনুসরণ করলে জীবনে আসতে পারে সফলতা।
এছাড়াও জীবনে সফল হওয়ার বিভিন্ন কথা চাণক্য তাঁর নীতি শাস্ত্রের বইতে উল্লেখ করেছেন। এই বইতে চাণক্য এমন কিছু অভিভাবকদের কথা বলেছেন যাদের কাজকর্ম তাদের নিজেদের সন্তানের কাছে তাদেরকে শত্রু করে তোলে। এমন কিছু অভ্যাসের কথা তিনি বলেছেন যার কারণে বাবা-মায়েরা সন্তানের কাছে শত্রু হয়ে ওঠেন।
আরোও পড়ুন : হাঁটুর বয়সী ছাত্রকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দুই সন্তানের মা! এই শিক্ষিকার কাণ্ডে শোরগোল
চাণক্য তাঁর নীতি শাস্ত্রের বইতে বলেছেন, যে সকল পিতা-মাতা সন্তানের পড়াশোনায় মনোযোগ দেন না, তারা সন্তানের কাছে শত্রু সমান। এই সকল অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে বা পাঠশালায় পাঠানোকে তুচ্ছ ঘটনা বলে মনে করেন। প্রত্যেক অভিভাবককে অবশ্যই সন্তানের পড়াশোনা নজর দিতে হবে।
আরোও পড়ুন : সুগন্ধী ‘গোবিন্দভোগে’র জয়জয়কার! মিলবে ‘বিশেষ’ সম্মান, স্বীকৃতি পেতে চলেছে বাংলার এই জেলা
চাণক্য বলেছেন, অভিভাবকরা একটি শিশুর মনে ছোটবেলায় যে বীজ বপন করেন সেটিই পরে অঙ্কুরিত হয়। সঠিক বীজ বপণের মাধ্যমে সেই সন্তান পরবর্তীকালে সঠিক পথে পরিচালিত হয়। এই মাধ্যমেই সন্তানের মধ্যে প্রকাশ পায় গুণ। যে সকল অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের খুব বেশি আদর করেন বা প্রশ্রয় দেন তারা বিপথে চালিত হতে পারে।
চাণক্য বলছেন, যদি শিশুরা ভুল কাজ করে তাহলে বাবা-মায়ের কর্তব্য আগে শিশুটিকে ভালোভাবে বোঝানো। ভুল কাজ করলে শিশুটিকে তিরস্কার করা উচিত যাতে সে ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকে। চাণক্যর মতে সন্তানদের সঠিকভাবে মানুষ করা প্রত্যেক বাবা-মায়ের কর্তব্য। যারা সেই কর্তব্য পালন করেন না তাদের ভবিষ্যতে সন্তানদের থেকে কিছু আশা করা উচিত নয়।