বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে বিভ্রান্তিমূলক রিপোর্ট! চরম ক্ষুব্ধ বিচারপতি। এরপরই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (DI) অন্য চাকরিতে বদলির নির্দেশ জাস্টিস গাঙ্গুলির। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল।
ঘটনাটা কী? নদিয়ার বাসিন্দা মুর্শিদাবাদের এক স্কুলের শিক্ষিকা নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে বাড়ির কাছের এক স্কুলে বদলির আবেদন জানান। শিক্ষিকা আদালতে জানান তার তার স্বামী প্রতিবন্ধী। ওদিকে ছোট্ট সন্তান অসুস্থ। তাই এই বিষয়ে বিবেচনা করে কাছের স্কুলে বদলির আবেদন জানান ওই শিক্ষিকা।
২০২২ সালে শিক্ষিকার আবেদন জমা পড়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে। তবে এভাবে বদলি দেওয়া যাবে না বলে সেই আবেদন খারিজ করেন জেলা পরিদর্শক। এরপর এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষিকা। শিক্ষিকার আরজির ভিত্তিতে ওই স্কুলে মোট কতজন শিক্ষক সেই বিষয়ে মুর্শিদাবাদের DI এর কাছে রিপোর্ট চান বিচারপতি।
আদালতের নির্দেশ মতো সেই তালিকা জমা করেন মুর্শিদাবাদের DI। তবে এর পরই বিপত্তি। দেখা যায় রিপোর্টে শিক্ষকের পাশাপাশি পার্শ্বশিক্ষকের সংখ্যাও যোগ করেছেন স্কুল পরিদর্শক। ‘শিক্ষক ও পার্শ্বশিক্ষকের সংখ্যা একসঙ্গে লেখা যায় না’, রিপোর্ট দেখেই বেজায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি।
আরও পড়ুন: গ্ৰুপ-D চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে শুভেন্দুর পাশে কৌস্তভ! জল্পনাই সত্যি হল? মুখ খুললেন দুই নেতা
এরপরই DI কে ২ সপ্তাহের মধ্যে অন্য কোনও দফতরে বদলির নির্দেশ দেন বিচারপতি। শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার দায়িত্ব দিয়েছেন জাস্টিস গাঙ্গুলি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যিনি এই রকম বিভ্রান্তিমূলক রিপোর্ট পেশ করেন সেই ব্যক্তি জেলা স্কুল পরিদর্শকের পদে থাকার অযোগ্য।
অন্যদিকে মামলাকারী ওই শিক্ষিকাকেও আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে বাড়ির কাছের কোনও স্কুলে বদলির নির্দেশ আদালতের। ৫ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।