বাংলা হান্ট ডেস্ক: মেইতেই (Meitei) সম্প্রদায়ের দুই পড়ুয়ার দেহের ছবি প্রকাশ্যে আসতে ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur)। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, ভাঙচুর। পড়ুয়া মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নেমেছে পড়ুয়া থেকে শুরু করে সমাজের নানা স্তরের মানুষ। মূলত কুকি (Kuki) সম্প্রদায় এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যেই এই ঝামেলা।
বুধবার সন্ধেয় পাহাড়ি জেলা থৌবলের বিজেপি (BJP) দপ্তরে হামলা হয়। সেখানে অবাধে ভাঙচুর চালানোর পর পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। জেলা বিজেপি দপ্তরে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে নিখোঁজ দুই ছাত্রের হত্যার ঘটনায় ইম্ফলেও (Imphal) ফের দফায় দফায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে ইম্ফল-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছে। এদিন ইম্ফলে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। যেখানে প্রায় ৫০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার আবার মঙ্গলবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Service) বন্ধ করে দিয়েছে। বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে, ‘কুকি অধ্যুষিত পাহাড়ি অঞ্চলে আগামী ছয় মাসের জন্য ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ বলবৎ থাকবে। তবে এতে ছাড় দেওয়া হয়েছে মেইতেই প্রভাবিত ইম্ফলের ১৯টি থানাকে।
বুধবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এম বীরেন সিং জানান, দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে বুধবারই ইম্ফলে পৌঁছেছে সিবিআই-এর দল।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন এটিএসইউএম-এর (ATSUM) কর্মসূচি ঘিরে মনিপুরে অশান্তির সূত্রপাত হয়। মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তপশিলি জাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। মণিপুরের আদিবাসী হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেইদের সঙ্গে ছয় মাস ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে কুকি-জো সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের।