বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) বর্তমানে কোনও নির্বাচিত সরকার নেই। শাহবাজ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেখানে কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের জানুয়ারিতে নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেছ। যদিও এর বিরোধিতা করেছে ইমরান খানের (Imran Khan) দল। এদিকে এরই মধ্যে সামনে এল এক ঘটনা। টিভি চ্যানেলে লাইভ শো চলাকালীন ইমরান ও শাহবাজের দলের প্রতিনিধির মধ্যে ব্যাপক মারধর। আর সেই ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল (Viral) হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের একটি নিউজ চ্যানেলে স্টুডিওতে (Studio) বিতর্ক সভা চলছিল। হঠাৎই শার্ট-প্যান্ট পরা এক ব্যক্তি কুর্তা-পাজামা পরা ব্যক্তির গায়ে হাত দেন। এরপরেই দু’জনের মধ্যে ব্যাপক মারধর, ঘুষি, লাথি চলে। এরপর কোনওক্রমে স্টুডিওতে থাকা বাকিরা দু’জনকে আলাদা করে ঝামেলা থামান।
শার্ট-প্যান্ট পরা ওই ব্যক্তির নাম শের আফজাল। তিনি ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের (PTI) আইনজীবী এবং কুর্তা পাজামা পরা ওই ব্যক্তি শাহবাজ শরিফেলষর দল পিএমএলএন (PMLN)-এর এমপি আফনাউল্লাহ খান। স্বাভাবিকভাবেই বোঝাই যাচ্ছে, ওই দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ কতটা তপ্ত, যেখানে একটি নিউজ চ্যানেলের বিতর্ক সভাতেও একে অপরকে শারীরিকভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
Contrary to what Sher Afzal Marwat claimed, Senator Afnanullah did take him to the ground and gave him a solid beating after being attacked — as the article rightly said, نیچے لٹاکر لاتیں رسید کیں ہیں۔
— Anas Mallick (@AnasMallick) September 28, 2023
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে এই ধরনের ঘটনা নেহাতই প্রথম নয়। ২০২১ সালে পাকিস্তানের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফিরদৌস আশিক আওয়ান একটি লাইক বিতর্কের সময় পিপিপি পার্টির নেতা আব্দুল কাদিরের কলার ধরে চড় মেরেছিলেন। অন্যদিকে, চার বছর আগে পিটিআই নেতা মসরুর আলি এক পাকিস্তানি সাংবাদিককেও চড় মেরেছিলেন। অর্থাৎ, এই ধরনের ঘটনা পাকিস্তানে আলাদা করে তেমন গুরুত্ব পায় না। যেমনটা বলা হয়ে থাকে…’এমনটা হয়েই থাকে’।