বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটা সময় ছিল যখন গ্রহণকে খুব অপবিত্র হিসাবে ধরা হত। প্রাচীনকালে মানুষ বিশ্বাস করত সূর্য ও চাঁদকে রাহু নামের রাক্ষস গিলে ফেললে গ্রহণ হত। কিন্তু পরবর্তীকালে বিজ্ঞান সেই কুসংস্কারকে ভেঙে দিয়েছে। বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনায় দূর হয়েছে মানুষের মনের অন্ধ বিশ্বাস।
গ্রহণকে বিজ্ঞানের ভাষায় জ্যোতির্বিদ্যাগত একটি ঘটনা হিসেবে ধরা হয়। যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চাঁদ এসে যায় তখন সেটাকে বলা হয় সূর্য গ্রহণ (Solar Eclipse)। ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্রে ও বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে গ্রহণকে অশুভ একটি ইঙ্গিত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। একাধিক ধর্মগ্রন্থ দাবি করেছে সূর্য গ্রহণের ফলে জীব সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
আরোও পড়ুন : কবে থেকে বাংলায় ছুটবে এসি লোকাল ট্রেন? রেলের তরফে জানা গেল আসল সত্যি
গত ২০ এপ্রিল চলতি বছরের প্রথম সূর্য গ্রহণ হয়েছিল। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের শেষ সূর্য গ্রহণ হতে চলেছে আগামী ১৪ অক্টোবর। সেদিন আবার অমাবস্যাও বটে। বৃত্তাকারের এই সূর্য গ্রহণ ঘটতে চলেছে শনিবার। অনেকে একে রিং অফ ফায়ার বলে থাকেন। ১৪ অক্টোবর রাত ০৮ টা ৩৪ মিনিটে শুরু হবে এই সূর্য গ্রহণ ও চলবে রাত ২ টো ২৫ মিনিট পর্যন্ত।
বিশ্বের একাধিক জায়গা থেকে দেখা যাবে এই সূর্য গ্রহণ। ১৪ই অক্টোবরের সূর্যগ্রহণ ঘটতে চলেছে কন্যা রাশি চিত্রা নক্ষত্রে। সূর্যগ্রহণ শুরু হওয়ার ১২ ঘন্টা আগে শুরু হয় সূতক সময়। সূতককালে পুজো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকে। যদিও ভারত থেকে দেখা যাবে না এদিনের সূর্য গ্রহণ। যেহেতু ভারত থেকে সূর্য গ্রহণ প্রত্যক্ষ করা যাবে না, সেহেতু ভারতে প্রযোজ্য হবে না সূতককাল।