বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুম্বই-আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল করিডোর প্রকল্পে বড় সাফল্যের মুখ দেখল ভারতীয় রেল। রেলের এই মেগা প্রোজেক্টের প্রথম পর্বত সুরঙ্গ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। ঘন্টায় ৩৫০ কিলোমিটার গতিবেগে এই টানেরগুলি দিয়ে ছুটে চলবে বুলেট ট্রেন। প্রসঙ্গত, মুম্বাই-আমেদাবাদ রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল সেই ২০১৫ সালে।
সেই সময় ১ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা এই প্রকল্পের খরচ হিসাবে ধার্য করা হয়েছিল। এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল প্রায় বছর আটেক আগে। প্রকল্পের কাজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে রেল কর্তারা বলেছেন, “এই টানেলটি ৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটির ব্যাস ১২.৬ মিটার এবং উচ্চতা ১০.২৫ মিটার। দুটি হাই স্পিড ট্রেন ট্র্যাক থাকতে চলেছে এই হর্সশু আকৃতির টানেলে।”
আরোও পড়ুন : বর্ষাকালে বাড়িতে সাপের উপদ্রব? এই নিয়ম মেনে চললে বাড়ি ‘বাপ বাপ’ বলে পালাবে এই প্রাণীটি
ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড পরিকল্পনা করেছে মুম্বই এবং আমেদাবাদের মধ্যে ৫০৮ কিলোমিটারের এই ট্র্যাকে নির্মাণ করা হবে আরো ছয়টি টানেল। বৃহস্পতিবার ভালসাদ বিভাগে প্রকল্পের প্রধান ম্যানেজার এসপি মিত্তল বলেন, “এটা আমাদের কাছে খুবই উত্তেজনা পূর্বক যে এটি ভারতের প্রথম টানেল যার মধ্যে দিয়ে ঘন্টায় ৩৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন ছুটবে।”
আরোও পড়ুন : ১৫ অক্টোবরেই ছুটবে বাংলার প্রথম AC লোকাল! চড়তে গেলে খরচা কত? দেখুন রেলের হিসেব
ভালসাদ বিভাগে প্রকল্পের প্রধান ম্যানেজার এসপি মিত্তল আরও জানিয়েছেন, “কীভাবে টানেলটি সোজা রাখা যাবে সেটিই আমাদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। এই বুলেট ট্রেন ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটবে, এরফলে সামান্য কিছু বিচ্যুতিও বড় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। খুব সাবধানে আমরা তাই প্রতিটা কাজ করছি। ১ মিলিমিটারও বাঁক দেখা যাবে না তাই এই সুরঙ্গে।”
প্রাথমিক অবস্থায় যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখে এই প্রকল্পের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। রেলমন্ত্রী গত বাদল অধিবেশনে সংসদে জানিয়েছিলেন, বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ আটকে ছিল জমি জটের কারণে। কিন্তু সিংহভাগ ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ সম্ভব হয়েছে। মহারাষ্ট্রে কিছু পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি জটিলতার কারণে।