বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে সিকিম। বানভাসি সিকিমের অবস্থা রীতিমত উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সিকিম। পর্যটনের জন্য বিখ্যাত সিকিমের একাধিক জায়গায় শুধুই ধ্বংসের ছবি। অন্যদিকে এই সময় থেকেই সিকিমে পর্যটনের মরশুম শুরু হয়ে যায়।
সিকিমে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে মাথায় হাত পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরই উত্তর সিকিমের পর্যটকরা শুরু করেন তাদের বুকিং বাতিল করতে। এই আবহে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুজোয় কি সিকিম যাওয়া আদৌ সম্ভব হবে? পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশ অবশ্য অনুরোধ করেছেন এখনই সিকিম ট্যুর বাতিল না করতে।
আরোও পড়ুন : কোন মন্ত্রবলে দোলনকে খুশি রাখেন দীপঙ্কর? এবার মুখ খুললেন স্বয়ং অভিনেতা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে সরকারের তরফে। স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে হোটেল ব্যবসায়ীরা সর্বদা পাশে রয়েছেন সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের। সিকিম প্রশাসন ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা তাই প্রাণপণ চেষ্টা করছেন যাতে পুজোর সময় সিকিম ট্যুর পর্যটকরা বাতিল না করেন।
আরোও পড়ুন : কড়া নির্দেশ দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার! এই কাজটি করতেই হবে সব কর্মচারীদের, নাহলে পাবেন না আর কোন সুবিধাই
এরমধ্যে একটি ইতিবাচক দিক হল প্রশাসন আপাতত সিকিমের পশ্চিম ও দক্ষিণ প্রান্তে যাওয়ার ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে। তবে একাধিক সমস্যা রয়েছে উত্তর সিকিম যাওয়ার ক্ষেত্রে। এর প্রধান কারণ বিপর্যয়ের ফলে এই অংশের লণ্ডভণ্ড অবস্থা। তবে সিকিমে এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর বহু পর্যটকই তাদের বুকিং বাতিল করছেন। কখন কী হয়ে যায় তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।
তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে রিস্ক নিতে চাইছেন না অনেকে। অনেক পর্যটক তাই পুজোর সময় সিকিম ট্যুর ক্যান্সেল করছেন। অনেকেই আবার সিকিমের বদলে দার্জিলিং যাওয়ার প্ল্যান করছেন। তবে দার্জিলিং পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে কোনও মতেই তিস্তার জলে নামা যাবে না। একই সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার না হতে।
এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে আপৎকালীন রুট ঘোষণা করা হয়েছে। সিকিম যাওয়ার জন্য দার্জিলিং পুলিশের পক্ষ থেকে বিকল্প রুটের ঘোষণা করা হয়েছে। শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, সিংলা( রাম্মান ব্রিজ), জোড়থাং, নামচি হয়ে গ্যাংটক যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে দার্জিলিং পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে এই পরিস্থিতিতে গ্যাংটকে গিয়ে কতটা ভালোভাবে ঘোরা যাবে তা নিয়ে সন্দেহ কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।