মহাকাশ দখলের পথে চীন! ড্রাগনের বড় পরিকল্পনা এল সামনে, দেখে ‘থ” গোটা বিশ্ব

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহাকাশে যে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (International Space Station) রয়েছে এটা তো আমরা সবাই জানি। পাশাপাশি, একইভাবে চিনের স্পেস স্টেশনও রয়েছে। যেটির নাম হল তিয়ানগং (Tiangong)। তবে, এবার একটি বড় তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, এখন চিন তার স্পেস স্টেশন সম্প্রসারণ করতে চায়। ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনা সামনে এনেছে চিন।

যেটি অনুসারে, আগামী বছরগুলিতে স্পেস স্টেশনে মডিউলগুলি ৩ থেকে বাড়িয়ে ৬ করা হবে। মূলত, পৃথিবীর কাছাকাছি থাকার মাধ্যমে মিশনের জন্য একটি বিকল্প প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। বিশেষ করে অন্যান্য দেশের মহাকাশচারীদের জন্যও ভাবনা রাখা হয়েছে। কারণ, NASA (National Aeronautics and Space Administration)-র নেতৃত্বে থাকা ISS ২০৩০ সালের দিকে অবসর নিতে চলেছে।

China is taking this big step to increase its influence in space

আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত ৭৪ তম অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল কংগ্রেস চলাকালীন, চিনের স্পেস এজেন্সির প্রধান ঠিকাদার চায়না অ্যাকাডেমি অফ স্পেস টেকনোলজি জানিয়েছে যে, তারা তাদের মহাকাশ স্টেশনের আয়ু ১০ থেকে ১৫ বছর বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। উল্লেখ্য যে, চিনের স্পেস স্টেশনটি তিয়ানগং নামে পরিচিত। যেটি অনুবাদ করলে হয় স্কাই প্যালেস অর্থাৎ আকাশের মহল। এই স্পেস স্টেশনের ওজন হল ৯৬,০০০ কেজি।

আরও পড়ুন: ১০০ টাকারও কমে আনলিমিটেড কল, দীর্ঘদিনের ভ্যালিডিটি! সস্তার তিনটি দুর্দান্ত প্ল্যান আনল BSNL

এই স্পেস স্টেশনটি কেমন: চিনা স্পেস স্টেশনের দৈর্ঘ্য হল ৫৫.৬ মিটার এবং প্রস্থ ৩৯ মিটার। এমতাবস্থায়, ভবিষ্যতের সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে, চিন আরও তিনটি মডিউল যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। এদিকে, চতুর্থ মডিউলও যোগ করা হবে। যেটিকে অস্থায়ীভাবে জিন্তিয়ান নাম দেওয়া হয়েছে এবং ২০২৪ সালে লঞ্চের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। তিয়ানগং ৩৪০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। এটি ISS-এর মতো একই গতিপথে রয়েছে। যদিও তিয়াংগং ISS-এর তুলনায় অনেক ছোট এবং হালকা। জানিয়ে রাখি যে, ISS-এর ১৬ টি মডিউল রয়েছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ৭২ বছর ধরে বন্ধ ছিল হিন্দু মন্দির, দরজা খুলতেই যা হল! জেনে ধন্য ধন্য করবেন

ISS: ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন হল বিশ্বের প্রধান প্রধান মহাকাশ সংস্থাগুলির দ্বারা যৌথভাবে নির্মিত একটি স্পেস স্টেশন। এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান এবং কানাডা। আন্তর্জাতিক মহাকাশচারীরা এটিতে যান। এটি ট্রেনিং এবং রিসার্চ ফ্যাসিলিটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে, চিন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের অংশ নয়। ISS গত দুই দশক ধরে কাজ করছে এবং এখনও পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি মহাকাশচারী এখানে গিয়েছেন। এমতাবস্থায়, NASA ২০৩০ সালে এটিকে অবসর দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর