বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর থেকে শিক্ষক দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) তোলপাড় গোটা রাজ্য। জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, নেতা বিধায়ক থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক। আদালতে চলছে একাধিক মামলা। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ফের প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন করে বাতিল হল ৯৪ জনের চাকরি।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানায় প্রাথমিক নিয়োগের মামলায় সিবিআই ৯৬ জন প্রার্থীর খোঁজ দিয়েছিল, যাদের বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। সেই সকল প্রার্থীদের ডাকা হলে এই ৯৬ জনের মধ্যে ৯৪ জনই টেট পাশের সার্টিফিকেট দেখাতে পারেনি। এরপরেই ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে যোগ্যদের নিয়োগ করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি বলেন, ২০১৬ এবং ২০২০ সালের নিয়োগের নম্বর বিভাজন-সহ মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। যার জন্য ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ৩০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: পদ হারালেন শান্তনু সেন! ফেসবুকে অভিমানী পোস্টে তৃণমূল সাংসদ লিখলেন, ‘হে ঈশ্বর, আমি যেন…’
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও নিয়োগ দুর্নীতির ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছিল৷ সেসময়ই উঠে আসে চাকরিপ্রার্থীদের প্রসঙ্গ। প্রাথমিকে কত শূন্যপদ রয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা।
এদিন ২০১৬ সালের প্রাথমিকে কতগুলি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে সেই প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তখনই মোট কত বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, এই প্রসঙ্গ ওঠে। এর প্রেক্ষিতেই বোর্ডের তরফে দাবি করা হয়, ২০১৬ সালে প্রাথমিক নিয়োগের মামলায় সিবিআই ৯৬ জন প্রার্থীর খোঁজ দিয়েছিল, যাদের বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। সেই সকল প্রার্থীদের ডাকা হলে তাদের মধ্যে ৯৪ জনই টেট পরীক্ষার সার্টিফিকেট সহ উপযুক্ত নথি দেখাতে পারেনি। বোর্ড তরফে এদের বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিন যারা নিজেদের বঞ্চিত মনে করছেন, তাদের একটা সুযোগ দেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন, “প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েও কি তাদের নিযুক্ত করা যায় না?” জবাবে বোর্ডের তরফে আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত জানান, ২০২২-এ প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষা হলেও এরা কেউ অংশ নেননি।
বিচারপতি বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতির জেরে যারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের একটা দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া দরকার। প্রার্থীদের বয়স টাও দেখা দরকার। যাদের বয়স চলে গিয়েছে, তাদের একটা ব্যবস্থা হওয়া উচিত্। অনেকের বয়স পেরিয়ে গিয়েছে।”