বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফিরহাদ হাকিম! কলকাতার মেয়র, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্ৰী। তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাদের তালিকায় একেবারে প্রথম সারিতে তার নাম। আর ববির জনপ্রিয়তা নিয়ে তো কোনও কথাই নেই। স্ত্রী, নাতনি, মেয়েদের নিয়ে সুখী পরিবার ফিরহাদের (Minister Firhad Hakim)। তবে শাসকদলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মোট সম্পত্তি (Total Assets), আয় (Income) কত তা কী জানেন?
শেষবার ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ফিরহাদ হাকিমের মোট উপার্জন ছিল ৩৪ লক্ষ ১৫ হাজার ৬৩০ টাকা। তবে পরের বছরই তা প্রায় ১০ লক্ষ বেড়ে যায়। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৪৯ লক্ষের উপরে ছিল ফিরহাদের উপার্জন। আর ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ববির উপার্জন ছিল ৬৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬২০ টাকা। (নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী).
২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ববির স্ত্রী ইসমতের উপার্জিত অর্থের পরিমাণ ছিল ছিল ৫২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ১ কোটি ৪ লক্ষের উপরে। তবে পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩২ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৫০ টাকায়।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী সেই সময় ফিরহাদের হাতে ছিল নগদ ৫৫ হাজার ৬৫০ টাকা। আর তার স্ত্রী ইসমতের কাছে ছিল ৬৫ হাজার ২৫৫ টাকা। ২০২১ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ফিরহাদের নামে সেই সময় গচ্ছিত ছিল মোট ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬৭১ টাকা ৮৭ পয়সা।
আরও পড়ুন: ‘চ্যানেল করে ইঞ্জেকশন, ইনফেকশনটা..’, নিজের অসুস্থতা নিয়ে যা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী…
অন্যদিকে সেই সময় ফিরহাদের স্ত্রীর মোট ব্যাঙ্ক ব্যালান্সের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৩০ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৩৯ টাকা ৯০ পয়সা। ছোট মেয়ে আফশার নামে ব্যাঙ্কে সঞ্চিত ছিল ১০ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪৩৭ টাকা ৮২ পয়সা।
সেই সময়ের তথ্য অনুযায়ী মিউচুয়াল ফান্ডে ফিরহাদ বিনিয়োগ করেছেন ১ লক্ষ টাকা। তার স্ত্রী বিনিয়োগ করেছেন ৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে সোনা, রুপো ও মূল্যবান পাথর মিলিয়ে ফিরহাদের কাছে মোট ২০৪ গ্রাম গয়না আছে। সে সময় অনুযায়ী যার বাজারদর ছিল প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। আর স্ত্রীর কাছে ছিল ৬৩০ গ্রাম গয়না। যার বাজারদর প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা।
এছাড়াও ফিরহাদের রয়েছে ‘হাকিম কেমিক্যালস’। যাতে তার নিজের বিনিয়োগ প্রায় ১ কোটি ৭৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৪৯ টাকা ৩০ পয়সা। ‘স্যানি স্টাইল’-এ স্ত্রীর বিনিয়োগ ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৬৩ টাকা ৪৪ পয়সা। পাশাপাশি চেতলা সেন্ট্রাল রোডে ফিরহাদের ৭০ লক্ষের উপরে মূল্যের দোকানঘর ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি তার স্ত্রীর নামে দু’টি দোকানঘরের উল্লেখ ছিল। এছাড়াও সেই সময় ফ্ল্যাট ও বাড়ি মিলিয়ে মোট চারটি সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন ফিরহাদ।