বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতের মাটিতে পা রেখে হায়দ্রাবাদে প্রথম দুটি বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে নেমে দাপট দেখিয়ে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু যেদিন থেকে তারা হায়দ্রাবাদ ছেড়েছে, সেদিন থেকে ভাগ্যও যেন বাবর আজমদের সঙ্গ ছেড়েছে। পরপর ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে ম্যাচ হেরে আজ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল তারা। কিন্তু সেই ম্যাচেও চমক দেখিয়ে অসাধারণ জয় তুলে নিল আফগানরা।
চলতি টুর্নামেন্টে ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্মরণীয় জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধেও তারা লড়াই করেছিল। আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে তারা যেটা করে দেখালো তার জন্য নিরপেক্ষ ক্রিকেট ভক্তরা অত্যন্ত আনন্দিত হবেন। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলা আফগানিস্তানের চায়নাম্যান স্পিনার নূর আহমেদের ঘূর্ণিতে আজ ধ্বংস হয়ে যায় পাকিস্তান ব্যাটিং।
লড়াই করেছিলেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম (৭৪) ও ওপেনার আবদুল্লা শফিক (৫৮)। কিন্তু দুজনেই শুরুর দিকে অত্যন্ত ধীরগতিতে ব্যাটিং করেছিল। পরের দিকে শাদাব খান এবং ইফতিকার আহমেদ আগ্রাসী ব্যাটিং করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ২৮২ রানের বেশি স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেনি পাকিস্তান।
রানতারা করছে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স এর খেলে যাওয়া আফগান ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ (৬৫) ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। উল্টোদিকে ঠান্ডা মাথায় নিজের উইকেট ধরে রাখছিলেন ইব্রাহিম জাদরান (৮৭)। তাদের মধ্যে ১৩০ রানের একটি ওপেনিং পার্টনারশিপ হয়। ওই পার্টনারশিপটা যেন শুরুতেই পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পরেও তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে না রহমত শাহ (৭৭) এবং আফগানিস্তান অধিনায়ক অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহীদী (৪৮*) ঠান্ডা মাথায় আফগানিস্তানের ইনিংস খেয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। পাকিস্তানের কোনও বোলার পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত দুজনেই অপরাজিত থেকে আফগানিস্তানকে এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় জয় এনে দেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও হেভিওয়েট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় আফগানিস্তান ক্রিকেটের উন্নতির প্রমাণ দেয়। খুব ক্ষীণ ভাবে হলেও সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে রয়েছে তারা।
অপরদিকে টুর্নামেন্টে প্রথম দুটি ম্যাচ জেতার পরে একে একে ভারত অস্ট্রেলিয়া এবং আজ আফগানিস্থানের কাছে হেরে প্রবল চাপে পাকিস্তান। সেমিফাইনালের দৌড়ে ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে তারা। অলৌকিক কোনও ঘটনা না ঘটলে তাদের পক্ষে আর সেমিফাইনালের দৌড়ে ফিরে আসা সম্ভব নয়।