বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ অভূতপূর্ব, রুদ্ধশ্বাস, অকল্পনীয়। দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তানের (South Africa vs Pakistan) এই বিশ্বকাপ (2023 ODI World Cup) ম্যাচটিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যে কোনও বিশেষণ কম হয়ে যাবে। ৪৭ ওভারের মধ্যে অলআউট হয়ে যাওয়া বাবর আজমের (Babar Azam) নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দল (Pakistan Cricket Team) বোলারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ভর করে ম্যাচে ফিরেছিল। ২৭০ রান তারা করতে গিয়ে চূড়ান্ত বিপাকে পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। কিন্তু শেষপর্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ১ উইকেট এবং ১৬ বল বাকি থাকা অবস্থায় দলকে জয় এনে দেন কেশব মহারাজ (Keshav Mahraj)।
টসে জিতে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম (৫০) প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন এবং তার ও সাউদ শাকিলের (৫২) অর্ধশতরানে ভর করে দলকে লড়াই করার মত কোন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাব্ৰাজ শামসি (৪/৬০) ও মার্কো জেন্সনের (৩/৪৩) দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে ২৭১ রানের বেশি টার্গেট রাখতে পারেনি পাকিস্তান। বাবর, ইফতেকার, সাউদ শাকিল, এবং শাহীন আফ্রিদির উইকেট নিয়ে শামসি ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন।
রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার সকল ক্রিকেটারই ক্রিজে সেট হন। কিন্তু এইডেন মার্করম ছাড়া আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৯৩ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কনকাশন সাবস্টিটিউট হিসাবে নামা উসামা মীর (২/৪৫) তাকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে ফেরত এনেছিল।
আরও পড়ুন: চাপ বাড়লো দ্রাবিড়ের ভারতের! পাকিস্তান ম্যাচ নয়, গোটা বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যাবেন শুভমান গিল?
শেষদিকে শাহীন আফ্রিদি (৩/৪৫) এবং হ্যারিস রাউফ (২/৬২) দ্রুত উইকেট তুলে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরত আনেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। উইকেট ফেলে দিয়ে আটকে যায় পাকিস্তান। ২১ বলে ৭ রান করে এবং ৪৮ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে একটি লুজ ডেলিভারিকে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত কেশব মহারাজ।
আরও পড়ুন: হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে কাঁদিয়ে দেওয়ার মতো আপডেট পেলো BCCI! মাথায় হাত রোহিতের
এর আগে কোনওদিনও বিশ্বকাপে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখেনি পাকিস্তান। তারা যে খাতায় কলমে এখনো সেমিফাইনাল পৌঁছতে পারে সেই বিষয়টা মাথায় থাকলেও তেমনটা যে কার্যত অসম্ভব সেটা যেন পাকিস্তান দল মেনে নিয়েছে। ৪৮ তম ওভারে মহম্মদ নাওয়াজের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন বাবর। কিন্তু তিনি লেগ স্টাম্পের ওপর শর্ট বল করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচ জেতার সুযোগ করে দেন। তাদের হাতে মাত্র একটি উইকেট ছিল। সঠিক জায়গায় বোলিং করলে তাদের চাপে ফেলার সুযোগ থাকতো। সেইজন্য বাবর আজমকে মেজাজ হারিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতেও দেখা যায়।