বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ সকলেই জানেন যে ভারতীয় ক্রিকেট দলে (Indian Cricket Team) সুযোগ পাওয়া কতটা কঠিন। তার চেয়েও বেশি কঠিন হলো ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নিজেকে সেই জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করা। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রতিভার কোন অভাব নেই এবং ক্রিকেটের ক্ষেত্রে জোগান এবং প্রয়োজনের মধ্যে সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক। তাই বহু ক্রিকেটারই এমন আছেন যারা দেশের জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ না পেয়ে অন্য দেশে গিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ক্রিকেটের মঞ্চে।
আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা এমনই এক ক্রিকেটারের কথা আলোচনা করতে চলেছি। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও ভারতে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর সুযোগ পাননি। কারণ তার জন্মই হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) ডারবানে। প্রোটিয়া শিবিরের তিন ফরম্যাটেই বহু ম্যাচ খেলেছেন এই তারকা। এখন বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে নিজেকে আবার প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন তিনি। এই তারকা আর কেউ নন, তিনি হলেন ৩৪ বছর বয়সী স্পিনার অলরাউন্ডার কেশব মহারাজ (Keshav Maharaj)।
তার জন্মের আগে তার পূর্বপুরুষরা ভারতেই বসবাস করতেন। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর থেকে তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন কাজের জন্য। ওখানে বসবাস করলেও ভারতীয় সংস্কৃতিকে তারা ভুলে যাননি এবং কেশব মহারাজের আচরণের মধ্যেও সেই ছাপ স্পষ্ট। তিনি ভারতীয় মন্দির ও হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন উপাচারের অত্যন্ত বড় ভক্ত।
গতকাল পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে মাত্র ২৭০ রান তুলেও জয়ের অত্যন্ত কাছাকাছি চলে এসেছিল পাকিস্তান। আর মাত্র একটা উইকেট প্রয়োজন ছিল তাদের। নবম উইকেটের যখন পতন ঘটে তখন দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আরো ১১ টি রান। কিন্তু মাথা ঠান্ডা রেখে। একটি লুজ ডেলিভারিকে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটার দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয় এনে দেন।
পাকিস্তানকে হারানোর পর কেশব মহারাজ হনুমানজিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, “আমি ভগবানের উপর বিশ্বাসী। দল একটা অসাধারণ পারফরম্যান্স করলো। সামসি আর মার্করম ছিল দুর্দান্ত! জয় শ্ৰী হনুমান”। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে কেরালার বিখ্যাত শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে (Sri Padmanabhaswamy Temple) প্রার্থনাও করে এসেছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা।