বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতে (India) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা (Population)। চীনের (China) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই দেশে ২০২২-এ জনসংখ্যা ছিল ১৪১ কোটি ২০ লক্ষ। ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। যদিও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি, কারণ জনগণনা (Census) এখনও পর্যন্ত হয়নি। আর এরই মধ্যে একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন দেশের সংখ্যালঘু দপ্তরের মন্ত্রী।
লোকসভায় (Loksabha) পেশ করা ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশে মুসলিম (Muslim) জনসংখ্যা প্রায় ১৯.৭ কোটি। এই সংখ্যাটি এবছরেই পেরিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, সেই সময় দেশের জনসংখ্যার ১৪.২ শতাংশ ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের। ২০১১-তে ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১৭.২ কোটি। অর্থাৎ, ২০১১ তুলনায় দেশে প্রায় আড়াই কোটি বেড়েছে মুসলিম জনসংখ্যা।
জনসংখ্যা ছাড়াও মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) আবাসন, শৌচাগার, স্বাক্ষরতার হার (Literacy), শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ এবং পানীয় জলের খতিয়ান তুলে ধরেন। যদিও স্মৃতি ইরানির পেশ করার তথ্যই শুরু হয়েছে বিতর্ক। আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এবং তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মালা রায় স্মৃতি ইরানিকে প্রশ্ন করেন। মুসলিমদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের (Pakistan) পর তৃতীয় দেশ হিসেবে ভারতেই সবচেয়ে বেশি ইসলাম (Islam) ধর্মের মানুষ বসবাস করেন। হায়দ্রাবাদ এবং আলিগড় শহরেই মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই মুসলিম। ভোপালের ৩৫ শতাংশ, মুম্বইতে বসবাস করেন ২২ শতাংশ মুসলিম। কলকাতায় (Kolkata) থাকেন ২১ থেকে ২৫ শতাংশ। উল্লেখ্য, কলকাতার পার্কসার্কাস এবং মেটিয়াবুরুজের মতো এলাকায় প্রচুর সংখ্যক মুসলিম নাগরিকের বসবাস রয়েছে।
‘পান্ডিত্য করলেই রাজনৈতিকভাবে…’ সোহমের মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলে বিরাট হইচই